‘ক্রেতা-বিক্রেতার আলোচনায় নির্ধারিত হবে এলএনজির দাম’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪৩ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি ও বিপণনে বেসরকারি অংশগ্রহণ চায় সরকার। এ জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণের বিধান রেখে তৈরি হচ্ছে এই নীতিমালা।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পেট্রো সেন্টারে ‘বেসরকারি খাতে এলএনজি স্থাপনা নির্মাণ, আমদানি ও সরবরাহ নীতিমালা-২০১৯’ শীর্ষক এক সেমিনারে এই নীতিমালা সম্পর্কে জানানো হয়।
সেমিনারে জ্বালানি সচিব আবু হেনা রহমাতুল মুনিম বলেন, আমদানির নীতিমালায় উদ্যোক্তাদের এলএনজি আমদানির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। উদ্যোক্তারা এলএনজি আমদানি করে নিজেরাই তা বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। সরকার উদ্যোক্তাদের স্বার্থে গ্যাস পাইপ লাইন ব্যবহারের সুযোগ দেবে। নির্দিষ্ট পরিমাণ হুইলিং চার্জ পরিশোধ করলে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি এই সুযোগ দেবে। বিক্রির অতিরিক্ত গ্যাস পেট্রোবাংলার নির্ধারিত মূল্যে সরকার কিনতে পারে।
জ্বালানি সচিব বলেন, আমদানি নির্ভর জ্বালানি খাত হওয়া কারও কাছেই কাম্য নয়। তবে, জ্বালানির ঘাটতি থাকলে আমদানি তো করতেই হবে। পাশাপাশি দেশীয় উৎস থেকে টেকসই উপায়ে যতটা সম্ভব জ্বালানি অনুসন্ধান-উৎপাদন করতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপরও জোর দেওয়া জরুরি।
সেমিনারে হাইড্রোকার্বন ইউনিট এলএনজি সংক্রান্ত যে নীতিমালা করছে, তা তুলে ধরা হয়। এ সময় হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক এ এস এম মঞ্জুরুল কাদের বলেন, ‘প্রমাণিত আর্থিক সামর্থ্য, বিদ্যুৎ বা জ্বালানি বা ভারী শিল্পখাতে পাঁচ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকলে উদ্যোক্তাকে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে কনসোর্টিয়াম হলে এলএনজি খাতে নির্মাণ বা পরিচালনার পাঁচ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নিমার্ণ করতে হবে আগ্রহী কোম্পানিকেই।বেসরকারি উদ্যোক্তরা এলএনজি নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করতে পারবেন। বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও বিক্রি করতে পারবেন।’
এ এস এম মঞ্জুরুল কাদের বলেন, ‘সঞ্চালন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোক্তরা গ্যাস ট্রান্সমিশন বা ডিস্ট্রিবিউশন পাইপলাইন নির্মাণ করে গ্যাস সঞ্চালন বা সরবরাহ করতে পারবেন। এছাড়া, পেট্রোবাংলার ট্রান্সমিশন বা ডিস্ট্রিবিউশন লাইন ব্যবহার করলে আলাদাভাবে হুইলিং চার্জ পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া, কেউ যদি বাড়তি এলএনজি আমদানি করে সেই বাড়তি গ্যাস চাহিদা বা প্রয়োজন অনুযায়ী পেট্রোবাংলার কাছে বিক্রিও করতে পারবে। যদি পেট্রোবাংলা তা কিনতে রাজি হয়।’
ব্যবসায়িকভাবে উপযুক্ত হলে উদ্যোক্তারা এলএনজি আনতে পারবেন বলেও জানান পেট্রোবাংলার পরিচালক মোস্তফা কামাল।
আরকে//