ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ইতিহাস গড়া হলো না টাইগারদের

প্রকাশিত : ০২:০৮ পিএম, ৭ মার্চ ২০১৬ সোমবার | আপডেট: ০২:০৮ পিএম, ৭ মার্চ ২০১৬ সোমবার

এশিয়া কাপে এবারও ইতিহাস গড়া হলো না টাইগারদের। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কাছে অসহায় আতœসমর্পন করল বাংলাদেশি বোলাররা। ফলাফল ভারতের কাছে ৮ উইকেটে বড় ব্যবধানে হার। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১২০ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে রোহিত শর্মা ও ধাওয়ানের উইকেট হারিয়ে -৭ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় ভারত। আল আমিন কে ছক্কা হাকিয়ে যখন ভারতীয় দলে শিরোপা জয়ের আনন্দ অপরদিক রাজ্যের হতাশা বাংলাদেশ শিবিরে । হারানো গেল না শক্তিশালী ভারতকে । স্বপ্নের ফাইনাল স্বপ্নই হয়ে রইল বাংলাদেশের জন্য । মিরপুর স্টেডিয়ামে অনাকাঙ্খিত কাল বৈশাখির আক্রমনে ভারি বর্ষণের কারনে ২ ঘন্টা বিলম্বিত হয় খেলা । ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা হয় ১৫ ওভারে । টস জিতে প্রথমে বোলিং এর সিদ্ধান্ত ভারতের । ৩ দশিিমক ৫ ওভারে ২৭ রান তুলে দারুন শুরুর ইঙ্গিত দেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবাল । ৯ বলে ৩ চারে ১৪ রান করে নেহরা কে তলে মারতে গিয়ে পান্ডিয়ার তালুবন্দি হোন সৌম্য সরকার । স্কোর বোর্ডে আরো ৩ রান যোগ হতেই নেই আর এক ওপেনার তামিম ইকবালের উইকেট । ১৩ রান করে বুমরাহর বলে এলবিডব্লিউ হন তামিম । এরপর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে সাব্বির চেষ্টা করেও রানের গতি তেমন বৃদ্ধি করতে পারছিলেন না । ইনফর্ম সাকিব ১৬ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফেরেন । সাকিবের বিদায়ের পর দ্রতই মুশফিকুর রহিম ও অধিনায়ক মাশরাফি বিদায় নিলে ভালো চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ । ৭৫ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ১০০ এর কোঠা পেরুতে পারে কিনা সেটিই বড় প্রশ্ন হয়ে দাড়ায় । কিন্তু বাংলাদেশের কান্ডারি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অতি মানবীয় ব্যাটিং করে দলকে ফাইটিং স্কোর পাইয়ে দেন । ১৩ বলে ২ চার ও ২ ছয়ে ৩৩ রান করা রিয়াদ পান্ডিয়ার ১৪ তম ওভারে একাই তুলে নেন ২০ রান । এর মধ্যে দুই বার উপর দিয়ে ও একবার নীচ দিয়ে সীমানা ছাড়েন করেন রিয়াদ । এই ওভার থেকে আসে মোট ২১ রান । ২৯ বলে ৩২ রান করা সাব্বির যোগ্য সহায়তাই দিয়েছেন রিয়াদকে । ভারতের হয়ে পান্ডিয়া ছাড়া বাকি ৪ বোলার নিয়েছেন ১টি করে উইকেট। জবাবে দলীয় ২৭ ও ব্যক্তিগত ১ রানে রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে উড়ন্ত সূচনা বাংলাদেশের । আগের ম্যাচগুলোর মত এ ম্যাচেও বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু দেন আল আমিন । ১ রান করা রোহিত শর্মা স্লিপে সৌম্য সরকার কে ক্যাচ দেন । কিন্তু এরপর শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলির র্দুদান্ত ব্যাটিং এ বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন ফিকে জয়ে যায় । এই দুজন বাংলাদেশী সব বোলারকে সাধারন মানে নামিয়ে আনেন । এই দুজনের অসাধারন ব্যাটিং ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলে বাংলাদেশকে । হাফ সেঞ্চুরি পূর্নৃ করা শেখর ধাওয়ান কে ৬০ রানে আউট করেছেন তাসকিন আহমেদ । ৪৪ বলে ৯ চার ১ ছয়ে এ রান করেন তিনি । কোহলি ৪১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন । সাথে অধিনায়ক ধোনি অপরাজিত ছিলেন ২০ রানে । বল খেলেছেন মাত্র ৬টি ।