ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

কাশ্মীর নিয়ে অস্বস্তিতে ভারত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫২ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

জেনেভায় অনুষ্ঠিত মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকের শুরুতেই অস্বস্তিতে পড়ছে ভারত সরকার। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) শুরু হওয়া পরিষদের বৈঠকের প্রথম দিনেই কাশ্মীর-প্রশ্নে ভারতকে বাধেন মানবাধিকার কমিশনার মিশেল ব্যাচেলে।

বৈঠকে কাশ্মীর-প্রশ্নে পাকিস্তান ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করবে বলে আশঙ্কা দিল্লির। মানবাধিকার কমিশনার মিশেল নিজেই কাশ্মীর-প্রসঙ্গ তোলায় ইসলামাবাদ কিছুটা সুবিধা পেতে পারে বলে মনে করছেন কূটনীতিকেরা।

মিশেল বলেন, ‘‘আমরা কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার দু’দিকেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর পাচ্ছি। সম্প্রতি ভারত সরকার কাশ্মীরে ইন্টারনেট যোগাযোগ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের আটক করা হয়েছে।’’ 

তিনি বলেন, ‘‘ভারত ও পাকিস্তান সরকারকে কাশ্মীরিদের মানবাধিকার রক্ষার অনুরোধ জানিয়েছি আমরা। এখন বিশেষত ভারতের কথাই বলতে চাই। আমার অনুরোধ, কাশ্মীর থেকে কারফিউ তুলে নিক দিল্লি। মানুষকে ন্যূনতম পরিষেবা পাওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। যাদের আটক করা হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে আইন মেনে চলতে হবে।’’ 

তার বক্তব্য, ‘‘কাশ্মীর নিয়ে যেকোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় সেখানকার বাসিন্দাদের সামিল করতে হবে।’’

সম্প্রতি ভারতের আসামে এনআরসি প্রক্রিয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মিশেল। তার বক্তব্য, ‘‘এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকায় ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। ফলে প্রবল উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।’’

সাউথ ব্লক সূত্রে খবর, মানবাধিকার পরিষদে দু’টি পদক্ষেপ করতে পারে পাকিস্তান। হয় তারা পরিষদের প্রেসিডেন্টের কাছে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা চাইবে। সে ক্ষেত্রে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন ওই আলোচনা হবে কি না। তা না হলে কাশ্মীরের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে একটি বিশেষ প্রস্তাব পাস করাতে চাইবে তারা। সে ক্ষেত্রেও ভোটাভুটি হবে। নয়াদিল্লি ভোটাভুটিতেই বাজিমাত করতে চাইছে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পরিষদের ৪৭টি সদস্য-দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ওই দেশগুলিকে জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পরে এখনও পর্যন্ত প্রাণহানি বা হিংসা হয়নি। 

সূত্রের খবর, জেনেভায় পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি প্রতিনিধিত্ব করলেও ভারতের তরফ থেকে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) বিজয় সিংহ ঠাকুর। পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গুরুত্বকে লঘু করতেই জেনেভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে না পাঠানোর কৌশল নিয়েছে দিল্লি।

সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা

আই/