হ্যাটট্রিক জয়ে সেমিতে বাংলাদেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৪৪ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:৪৬ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার
জাতীয় দলের ভরাডুবির মধ্যেই বিজয় কেতন উড়িয়ে চলেছে যুবারা। শ্রীলঙ্কান যুবাদের হারিয়ে চলমান এশিয়া কাপে তুলে নিয়েছে হ্যাটট্রিক জয়। ২৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে টাইগার যুবাদের বোলিং তোপে ২৩১ রানের গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা। যাতে ৪২ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আকবর আলীর দল। সেইসঙ্গে ভারতের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
এর আগে ব্যাট করে অনবদ্য শতক হাঁকিয়েছেন টাইগার যুবা মাহমুদুল হাসান জয়। এ ওপেনারের শতকে ভর করেই সাত উইকেটে ২৭৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় বাংলাদেশ। দিনশেষে ম্যাচ সেরাও হন তিনি। এর আগের দুই ম্যাচেও রান পান জয়, করেন যথাক্রমে ২৭ ও ৪০ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২২ রানেই প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। টাইগার যুবাদের বোলিং তোপের মুখে সেই ধারাবাহিকতায় নিয়মিত বিরতি দিয়ে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। যার ফলে কার্যকর কোন জুটি গড়ে না ওঠায় বাড়তে থাকে রান রেটের চাপ। আর সেই চাপেই ভেঙে পড়ে স্বাগতিক যুবাদের ইনিংস। ১৪ বল আগেই অলআউট হয়ে যায় ২৩১ রান তুলেই। যাতে ৪২ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
লঙ্কানদের ইনিংসে বলার মত রান করেন লেট অর্ডারের রোহান সঞ্জয়া। নয় নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেন এই অলরাউণ্ডার। তার ৩৬ বলের কিছুটা ঝড় তোলা ইনিংসে ছিল দুটি ছক্কা ও চারটি চারের মার।
এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে অধিনায়ক নিপুন ধনাঞ্জয়ার ব্যাট থেকে। আর ৩৩ করে রান করেন ওপেনার কামিল মিশারা ও আহান বিক্রমাসিংহে।
এ ইনিংসে টাইগার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন আগের দুই ম্যাচে ৪ উইকেট নেয়া রাকিবুল হাসান। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তুলে নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া শরিফুল ও আশরাফুল নেন দুটি করে এবং শামিম ও মৃত্যুঞ্জয় নেন একটি করে উইকেট।
মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় দু'দল। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার যুবা অধিনায়ক আকবর আলী। অধিনায়কের সে সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে দলকে শুভ সূচনাও এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও মাহমুদুল হাসান জয়।
তবে দলীয় ৩০ ও ৫৬ রানের তামিম ও পারভেজ হোসাইন ইমন ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে যুবারা। সাজঘরে ফেরার আগে তামিম ১৭ ও ইমন ১০ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হন। পরে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে সে চাপ কাটিয়ে বড় জুটি গড়েন জয়। ১২১ রান যোগ করে এ জুটি যখন বিচ্ছিন্ন হয়, তখন নিজের ফিফটি পূরণ করে ফেলেন হৃদয়।
৭৫ বলে চার বাউণ্ডারিতে ঠিক ৫০ করে আউট হন মিডল অর্ডারের এ ব্যাটসম্যান। ততক্ষণে শতকের কাছাকাছি পৌঁছে যান জয়ও। পরে শামিম হোসাইন ও দলনায়ক আকবর আলীর সঙ্গে গড়েন ৩২ ও ৩৫ রানের দুটি ছোট ছোট জুটি। এ দুটি জুটি গড়ার পথেই দুর্দান্ত এক শতক হাঁকান জয়।
পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে এ ওপেনার যখন মাঠ ছাড়েন তখন তার নামের পাশে শোভা পায় ১২৬ রানের অনবদ্য একটা সংখ্যা। ১৪০ বল মোকাবেলা করে বারটি চার ও দুটি ছক্কার মারের সাহায্যে মনোমুগ্ধকর এ ইনিংসটি সাজান তিনি।
মূলত জয়ের এই ইনিংসে ভর করেই লঙ্কানদের বিপক্ষে ২৭৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় বাংলাদেশ। এ স্কোর গড়তে গিয়ে যুবাদের হারাতে হয় ৭টি উইকেট। যেখানে জয় ও তাওহীদ ছাড়াও শামিম ২২, আকবর ১৪, তানজিদ ১৭ ও শাহাদাৎ ১২ রান করেন।
লঙ্কান বোলাদের পক্ষে দিলশান মাদুসংকা ৩টি এবং আশিয়ান ড্যানিয়েল দুটি উইকেট লাভ করেন। এছাড়া বাকি উইকেট দুটি নেন নাদীশান ও পারানাভিথানা।
এনএস/