ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রথম প্রতিবাদ

জুয়েল আহমেদ খান

প্রকাশিত : ১১:১৩ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:২৩ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

২১ আগস্ট ২০০৪ সালে তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের নিয়ন্ত্রক তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে যে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল, তখন সারাদেশের মানুষ ভয়ে স্তব্ধ, আতঙ্কিত ও শংকিত হয়ে পড়েছিল। সে সময় দেশটিতে কি হচ্ছিল দেশের মানুষ কিছুই বুঝতে পারছিল না। তারেক রহমানের মূল মিশন ছিল গণমানুষের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রাণপ্রিয় সংগঠন মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে চিরতরে শেষ করে দেয়া। সেদিনের গ্রেনেড হামলা থেকে আল্লাহর অশেষ রহমতে প্রাণপ্রিয় নেত্রী বেঁচে গেলেন, বেগম আইভি রহমানসহ অনেক গুলো তাজাপ্রাণ ঝড়ে গেল। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ মৃত্যুপুরিতে পরিণত হল। সমগ্র জাতি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেল। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি অজানা আতঙ্কের দেশে পরিণত হল। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শক্তি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল।

ঠিক সেই সময়, আমিও আমরা কয়েকজন ছাত্রনেতা দেশের এই ক্রান্তিকালে ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে কিছু একটা করার জন্য আলোচনা শুরু করি। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকদফা আলোচনার পর আমার সভাপতিত্বে তেশরা সেপ্টেম্বর আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় এই সন্ত্রাসী মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক জোট সরকারের পতনের লক্ষ্যে সারাদেশে দুর্বার ছাত্র গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এই আন্দোলন শুরু হবে ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ মিছিল সমাবেশ দিয়ে, সেদিন আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অন্যান্য প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসগুলোকে আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে শরীক হওয়ার জন্য আহবান করি। সেদিনের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি লিয়াকত শিকদার, ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল কবির স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান তরুণসহ এই সংগঠনগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। ওই দিনের আনুষ্ঠানিক আলোচনার সিদ্ধান্তের খবর পরের দিন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ছাপা হয়। পরবর্তীতে আমরা চারদলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শক্তিশালী ও বেগবান করার জন্য অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর আমাদের সঙ্গে আরও দুটি ছাত্র সংগঠন যুক্ত হয় বাংলাদেশ ছাত্র সমিতি ও জাতীয় ছাত্রধারা। প্রসঙ্গত এখানে বলে রাখি আমি তখন জাতীয় ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

সবগুলো ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ৯ সেপ্টেম্বর একত্রিত হয়ে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়, ১১ সেপ্টেম্বর ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হবে ‘সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা’ বিরোধী ছাত্রজোটের ব্যানারে। আর ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৪ শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা ঐক্যবদ্ধ ছয়টি ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সুধাসদনে যাই জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে এবং ২১আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলন কর্মসূচির কথা জানানোর জন্য।

সুধাসদনে যাওয়ার পর নেত্রীর সঙ্গে আমাদের দেখা হয়। সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের আন্দোলন কর্মসূচির কথা শুনে অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন। আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি প্রায় দুই ঘণ্টা কথা বলেন। জননেত্রীর সঙ্গে আমাদের আলোচনার একপর্যায়ে বেগম জহুরা তাজউদ্দিন ও সোহেল তাজ নেত্রীকে দেখতে আসেন। জননেত্রী আমাদের আন্দোলন কর্মসূচির কথা জোহরা তাজউদ্দিনকেও জানান। আমাদের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে আমি জননেত্রীকে অনুরোধ করে একটি প্রস্তাব করেছিলাম যে, চারদলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার জন্য। প্রিয় নেত্রী সেদিন বলেছিলেন তোমরা তরুণরা ইমোশনালী যতটা তাড়াতাড়ি ঐক্যবদ্ধ হতে পার, সে তুলনায় আমাদের একটু সময় লাগে। তিনি সেদিন বলেছিলেন, তোমার প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে আমি কাজ করব। ওইদিন আমাদের সকল নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তিনি প্রাণখুলে কথা বলেছিলেন, আমি জননেত্রীর সাথে মনে হয় একটু বেশি কথা বলেছিলাম। প্রিয় নেত্রীকে সামনে পেয়ে সেদিন একটি আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়।

সেদিনের আলোচনায় সুধাসদনে, আমি (জুয়েল আহমেদ খান)সহ উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি লিয়াকত শিকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি মারুফা আক্তার পপি, ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান শিখর, ছাত্রমৈত্রির সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল কবির স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান তরুণ, ছাত্রঐক্যের  সাধারণ সম্পাদক সৌরভ ভদ্র মন্টু, ছাত্র সমিতির যুগ্মআহবায়ক মোশতাক আহমেদ, জাতীয় ছাত্রধারার সভাপতি মাহফুজ আকরাম, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর আহমেদ। এ ছাড়া সুধাসদনের বাইরে সকল ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিল।

জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ ছয়টি ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দের কথা বলার পর সবার মনোবল অনেক বেড়ে যায়। পরদিন ১১ সেপ্টেম্বর। শনিবার ২১ আগস্ট ২০০৪ গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিলের পর অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু রাতারাতি তৎকালীন সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল ঘোষণা করল তারা অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করবে। তখন আমরা ঠিক করলাম অপরাজেয় বাংলার পাশেই আমতলাতে সমাবেশ করব। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা ১১ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশের কর্মসূচি আরম্ভ করলাম ছাত্রলীগসহ ছয়টি ছাত্র সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়ে একটি সফল বড় সমাবেশে রূপান্তরিত হল।

প্রতিবাদ সমাবেশটি আরম্ভ হওয়ার পর ছাত্রনেতারা বক্তৃতা শুরু করার এক পর্যায়ে তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নেতৃত্বে ছাত্রদল ও শিবিরের ক্যাডাররা আমাদের সমাবেশে ব্যাপক হামলা করল এবং সমাবেশটি তছনছ করে ফেলল। আমাদের সবগুলো সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হল। ওইদিন আমি মারাত্মক আহত হই, আমার ডান কাঁধের জয়েন্ট ভেঙ্গে যায় এবং মাথায় লাঠির আঘাতে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। আমাকে আহত অবস্থায় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেদিনের হামলায় ছাত্রদল-শিবির ক্যাডারদের হাত থেকে মেয়েরাও রেহাই পায়নি। আহত নেতাকর্মীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় হামলা করেছে, বাধা দিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের কক্ষ ভাংচুর করে তছনছ করে দেয়। ফটো সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে আমাদের সামবেশে ব্যবহৃত মাইক ভেঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে দেয়া হয়।

টিএসসিতে ঢাবি বাসে অগ্নিসংযোগ করে, এমনকি আহত হয়ে যারা মেডিকেল গিয়েছিল সেখানেও হামলার চেষ্টা করে। শিক্ষকদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে ৪০ মিনিট। সম্মানিত শিক্ষকদের কক্ষ ভাংচুর করে নারকীয় উল্লাস করে ছাত্রদল-শিবিরের ক্যাডাররা।

পরদিন ১২ সেপ্টেম্বর প্রায় সকল জাতীয় দৈনিকের হেডলাইন হয়ে খবর প্রকাশ হয় ১১ সেপ্টেম্বর নারকীয় হামলার ঘটনা। ঢাবি শিক্ষকরা তিনদিনের কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করে এই হামলার প্রতিবাদে। প্রগতিশীল ছাত্রজোট এই নারকীয় হামলার প্রতিবাদে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে।

১২ সেপ্টেম্বর  আমাদের ছয় ছাত্রসংগঠনের পক্ষ থেকে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করা হয় এবং ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়া হয় এবং সকল বহিরাগতদের হল থেকে বের করে দেয়াসহ বিভিন্ন যৌক্তিক দাবির কথা বলা হয়। অন্যথায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া না পেয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর পুলিশের বাধায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ছাত্রলীগসহ ছয় সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল করে সর্বাত্মক ছাত্র ধর্মঘটের পক্ষে। তারপর ঢাবি সাংবাদিক সমিতির কক্ষে ছয় ছাত্র সংগঠন ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে লাগাতার ছাত্র ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এই ছাত্র ধর্মঘট চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের কয়েক দফা আলোচনা হয়। ছাত্র ধর্মঘট প্রত্যাহার করার জন্য ঢাবি কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে বার বার বলে আসছিল। আমাদের দাবি ছিল ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে না হলে আমাদের ডাকা লাগাতার ছাত্র ধর্মঘট চলবে।

তারপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আমাদের সকল দাবি-দাওয়া তারা বাস্তবায়ন করবে। এই প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে আমরা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে লাগাতার ২৮ দিন ঢাবি বন্ধ রাখার পর ১৩ অক্টোবর থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়।

চারদলীয় জোট সরকার বিরোধী সকল আন্দোলন বেগবান ও জোরদার করার জন্য আমাদের এই ছাত্রজোটকে শক্তিশালী করতে আমাদের এই ছাত্রজোট ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ নামে আত্মপ্রকাশ ঘটে।

আমাদের ছয় ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আরেকটি ছাত্র সংগঠন যুক্ত হয় ‘বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলন’ যার সভাপতি ছিল কনক বড়ুয়া। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনের ক্ষেত্রে সবগুলো ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ছিল। চারদলীয় জোট সরকার বিরোধী সকল আন্দোলনে আমাদের প্রতিষ্ঠিত ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পরবর্তীতে চারদলীয় জোট সরকার বিরোধী সকল আন্দোলনে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতা কর্মীরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। তৎকালীন সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে বহুবার পুলিশের ও সরকার দলীয় ক্যাডারদের দ্বারা হামলা, মামলা, নির্যাতনের শিকার হয়েছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বহু মিছিল সমাবেশ করেছি। দেশের ক্রান্তিকালে সময়ের প্রয়োজনে আন্দোলন, সংগ্রাম করেছিলাম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সময়ের বিবর্তনে আমাদের কথা সবাই ভুলে গেছে।

বিশ্ব মানবতার জননী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত দশ বছর ধরে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোট ক্ষমতায়। এর মধ্যে দশ বছরে কত সুবিধাবাদী মানুষ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিকভাবে সুবিধা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু দুঃখের বিষয় এসব মানুষগুলো কখনও দল ও দেশের ক্রান্তিকালে দেখা যায়নি, ভবিষ্যতেও পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ আছে।

জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ উন্নত দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি উন্নয়নের পর্যায়ে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এত পরিবর্তনের মাঝে দুঃখসময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী মানুষগুলোর ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। এদের খবরও নেয়া বা রাখার কেউ নাই।

আমি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে দুঃসময়ের রাজপথের আন্দোলনের একজন কর্মী হিসেবে গত দশ বছরে কোন সুযোগ-সুবিধা নেওয়া বা পাওয়ার জন্য কোন নেতা, এমপি, মন্ত্রীর কাছে গিয়ে বিরক্ত করিনাই বরং অনেকের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়েছি। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সকল নেতা কর্মীর নাম উল্লেখ্য করতে না পারার জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

লেখন: জুয়েল আহমেদ খান সাবেক ছাত্র নেতা