ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

ইএফডি দিতে এনবিআর’র তালিকায় ২৪ ধরনের প্রতিষ্ঠান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:০০ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৬:০২ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বুধবার

ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) দেওয়া হবে সেবাদানকারী ২৪ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে। ভ্যাট ফাঁকি রোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রথম পর্যায়ে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকাও করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে পর্যায়ক্রমে দশ লাখ ইএফডি দেওয়া হবে।

সেবাদানকারী যে ২৪ ধরনের প্রতিষ্ঠান ইএফডি পাচ্ছে সেগুলো হলো- আবাসিক হোটেল, রেস্তোরা ও ফাস্টফুড, ডেকোরেটরস ও ক্যাটারার্স, মোটর গাড়ির গ্যারেজ-ওয়ার্কশপ এবং ডকইয়ার্ড, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, ছাপাখানা ও বাঁধাই সংস্থা, কমিউনিটি সেন্টার, মিষ্টান্ন ভান্ডার, স্বর্ণকার-রৌপ্যকার ও স্বর্ণ পাইকারী, আসবাবপত্র বিক্রয় কেন্দ্র, কুরিয়ার ও এক্সপ্রেস মেইল সার্ভিস, বিউটি পার্লার, হেলথ ক্লাব ও ফিটনেস সেন্টার, কোচিং সেন্টার, সামাজিক ও খেলাধুলা বিষয়ক ক্লাব, তৈরি পোশাক বিপনন, ইলেকট্রনিক/ইলেকট্রিক্যাল গৃহস্থালী সামগ্রীর বিক্রয়কেন্দ্র, শপিং সেন্টার/শপিংমল, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, জেনারেল স্টোর/সুপারশপ, বড় ও মাঝারী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, যান্ত্রিক লন্ড্রি, সিনেমা হল, সিকিউরিটি সার্ভিস।

এনবিআর বলছে, প্রথম দফায় দেশে আসছে ১০ হাজার ইএফডি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসজেডজেডটি ইএফডি সরবরাহের কাজ পেয়েছে। চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সিনেসিস আইটির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। আর ইএফডি আনতে প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যাদেশও (ওয়ার্ক অর্ডার) দেওয়া হয়েছে।

মূলত আগে যারা ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার (ইসিআর) ব্যবহার করতেন তাদের জন্য ইএফডি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। ভ্যাট ফাঁকি রোধে ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) একটি অত্যাধুনিক যন্ত্র। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসতে যাওয়া এই মেশিনগুলো সরাসরি যুক্ত থাকবে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের সঙ্গে। এনবিআরের কর্মকর্তারা অফিসে বসেই এ যন্ত্রগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। ইএফডিগুলোর বিপরীতে থাকবে ইলেক্ট্রনিক ভ্যাট আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন)। তবে একই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একাধিক মেশিন থাকলেও বিআইএন হবে একটিই।এছাড়াও মেশিনগুলোর জন্য দেওয়া হবে অথরাইজেশন নম্বর। এটি ছাড়া কোনোভাবেই চালান (ভ্যাট আদায়ের রশিদ) প্রিন্ট দেওয়া যাবে না।

এনবিআর আরও বলছে, ইএফডিতে ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ এখানে  টেম্পারিং করার সুযোগ নেই। এনবিআরে একটি সেন্ট্রাল সার্ভার থাকবে। আর এই সার্ভারে ভ্যাট ইনপুট দেওয়ার পর সার্ভার থেকে এনওসি (অনুমতি) ছাড়া চালান বের হবে না। ফলে ব্যবসায়ী চাইলেও  ইএফডি থেকে তথ্য মুছে ফেলতে পারবেন না।

আরকে//