‘এসডিজি অর্জনে বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্ব বাড়াতে হবে’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৪৭ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বুধবার
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তবে সডিজি অর্জনে অর্থায়নের মতো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি ও ব্যবসায়িক মহলের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করতে হবে। আজ এক সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন।
ঢাকার পিকেএসএফ ভবনে আয়োজিত “টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ৩: সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ ” বিষয়ক এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউণ্ডেশন (পিকেএসএফ)’র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন প্রধান অতিথি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।
ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কাউকে বাদ দিয়ে নয়’—টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)-এর এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে সরকার তা বাস্তবায়নে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসডিজি-এর প্রতিটি অভীষ্ট পরস্পর নির্ভরশীল উল্লেখ করে তিনি বলেন সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ অর্জনে দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও নারীর ক্ষমতায়ন জরুরি। এসডিজি অর্জনে অর্থায়নকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তা মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি ও ব্যবসায়িক মহলের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি বজায় রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বিশেষ অতিথি শেখ ইউসুফ হারুন এসডিজি-৩ অর্জনে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রতি জোর দেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব বলেন, স্বাস্থ্যসেবা সকলের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে যার জন্য অর্থায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বাস্থ্যখাতের সকল কর্মীর দক্ষতা ও মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি জরুরি। এসডিজি-৩ অর্জনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একশন প্ল্যান প্রণয়নের কাজ চলছে বলে তিনি জানান। একশন প্ল্যান অনুযায়ী প্রকল্প গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে মর্মেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য প্রয়োজন বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং শিল্পায়ন তরান্বিত করা। দক্ষ জনবল সৃষ্টি, দুর্নীতি প্রতিরোধ, যথাযথ ও বাস্তবসম্মত একশন প্ল্যান গ্রহণ করা এবং সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারি প্রচেষ্টার সঙ্গে পিকেএসএফও পরিপূরক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। পিকেএসএফ-এর বিভিন্ন কার্যক্রমে এসডিজি-র ১৭টির মধ্যে ১৩টির প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায় বলে তিনি জানান। সকলের সামষ্টিক প্রচেষ্টায় এসকল উদ্যোগ চলমান থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সেমিনারে “টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ৩: সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ (সকল বয়সী সকল মানুষের জন্য সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণ)” শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিকেএসএফ’র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ জসীম উদ্দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশ নেন এবং মুক্ত আলোচনা পর্বে সরকারের বিভিন্ন সংস্থাসহ বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি তাঁদের অভিমত ব্যক্ত করেন।
আরকে//