ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

আফিফ-মোসাদ্দেকে ছুটছে বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৮ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

জিম্বাবুয়ের দেয়া ১৪৫ লক্ষ্য তাড়ায় কোথায় উড়ন্ত সূচনা দরকার, তা তো দূর! মাত্র ২৯ রানেই চার টপ অর্ডারকে হারিয়ে উল্টো খাদের কিণারে বাংলাদেশ। পরে মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বিরের বিদায়ে চরম চাপে পড়ে টাইগাররা। তবে আফিফ ও মোসাদ্দেকের ব্যাটে জয়ের লক্ষ্যেই ছুটছে বাংলাদেশ।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১০৮ রান। আফিফ হোসেন ২৮ রানে এবং মোসাদ্দেক ২১ রানে ক্রিজে আছেন। এ দুজনে এখন পর্যন্ত ৪৮ রান যোগ করেছেন ২৭ বল থেকে। 

শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাব্বির রহমান ১৫ রানে আউট হন। এর আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফেরেন ১৪ রান করে লেগ বিফোর হয়ে।

এদিন ভাল শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও লিটন দাস ফেরেন এক চার ও এক ছয়ে ১৯ রান করে বোল্ড হয়ে। এরপর সৌম্য ৪ রানে ক্যাচ তুলে দিলেও রানের খাতাই খুলতে পারেননি ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিক। আর বোলিংয়ে চরমভাবে মার খাওয়া দলনায়ক সাকিব তো ফেরেন মাত্র ১ রান করেই। 

এর আগে টাইগার বোলারদের তোপের মুখে একপর্যায়ে ৬৩ রানেই পঞ্চম উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। তবে রায়ান বার্লের ঝোড়ো ফিফটিতে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে সফরকারীরা। নির্ধারিত ১৮ ওভারে আর কোন উইকেট না হারিয়েই বোর্ডে ১৪৪ রান জমা করে তারা।

মিরপুরে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমেই টেইলরকে হারায় জিম্বাবুয়ে। অভিষিক্ত তাইজুলের করা প্রথম বলেই মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ তুলে ফেরেন জিম্বাবুয়ান ওপেনার। পরে জিম্বাবুয়ে শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন মুস্তাফিজ ও সাইফুদ্দিন। এরভিন ও মাসাকাদজাকে তুলে নিয়ে উল্লাসে মাতেন দুজন।   

২৬ বল খেলে পাঁচটি চার এক ছক্কায় ৩৪ রান করে ফেরেন অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। তার আগে ও পরে টাইগার বোলিং তোপে সাজঘরে ফেরেন ক্রেইগ এরভিন ১১ রানে, উইলিয়ামস ২ রানে ও মারুমা ১ রানে। যাতে বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। আর এতে মনে হয়েছিল অল্পতেই বুঝি গুটিয়ে যাবে মাসাকাদজার দল।

কিন্তু না, তা হয়নি। হতে দেননি এক জিম্বাবুয়ান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ওই বিপর্যয় কাটিয়ে বোলারদের ওপর চড়াও হন রায়ান বার্ল। সাকিবের এক ওভারে তো রীতিমত ঝোড় তোলেন তিনি। তিন ছয় ও তিন চারে ৩০ রান সংগ্রহ করেন বার্ল। ২৮ বলে নিজের প্রথম ফিফিটিটাও হাঁকিয়ে ফেলেন রায়ান। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫৭ রানে। তার ৩২ বলের এ মারকুটে ইনিংসে ছিল চারটি ছক্কা ও পাঁচটি চারের মার।

মূলত তার ঝড়ো ব্যাটে ভর করেই স্বাগতিক বাংলাদেশকে ১৪৫ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে। তবে কম যাননি বার্লকে সঙ্গ দেয়া টিনোটেন্ডা মুতোম্বোদজিও। ২৬ বলে ২৭ রান করে বার্লকে যোগ্য সঙ্গই দেন তিনি। 

টাইগারদের পক্ষে এ ম্যাচে তাইজুল, মুস্তাফিজ, সাইফুদ্দিন ও মোসাদ্দেক প্রত্যেকেই একটি করে উইকেট তুলে নিতে পারলেও চরম ব্যর্থ হন সাকিব আল হাসান। উইকেট তো পানই নি। উল্টো এক ওভারে ৩০ সহ চার ওভারে ৪৯ রান দেন দলীয় অধিনায়ক। যাতে অত সংগ্রহ পায় সফরাকারিরা।

এর আগে পৌনে ৮টার দিকে অনুষ্ঠিত হওয়া টসে জিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এদিকে দেরিতে শুরু হওয়া এ ম্যাচের পরিধিও কমেছে। দুই ওভার কমায় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১৮ ওভারে। কমানো হয়েছে বিরতির সময়ও। 

এনএস/