ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

আবারও সাইফের জোড়া হানা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৫৬ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার

টি-টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করছে আফগানিস্তান। সাইফুদ্দিন-সাকিবের জোড়া আঘাতে ৪০ রানেই ৪ উইকেট হারালেও আসগর ও নবীর জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় আফগানরা। তবে সাইফুদ্দিনের ফের জোড়া আঘাতে খেলার নিয়ন্ত্রণে ফেরে বাংলাদেশ। 

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৮ ওভারে আফগানদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৪৩ রান।  

দুই ছয় আর তিন চারে ৪০ করা আসগর আফগান সাইফুদ্দিনের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরলেও চার ছক্কা আর দুই চারে ৫৭ রানে ক্রিজে আছেন মোহাম্মদ নবী। দুই বল পর সাইফের চতুর্থ শিকার হন গুলবাদিন (০)। ফলে ১৫ রানেই ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং প্রদর্শন করেন টাইগার এই অলরাউন্ডার।

এর আগে গুরবাজ শূন্য এবং জাজাই ১, তারাকাই ১১ এবং জাদরান ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। দুর্দান্ত বোলিং করছে বাংলাদেশে। সাকিব ও সাইফ দুটি করে উইকেট তুলে নেন। 

রোববার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সাড়ে ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়। প্রথম ম্যাচের জয়ের ধারা অব্যহত রেখে, রশিদ খানদের বিপক্ষে এ ম্যাচেও জয় পেতে মরিয়া সাকিবরা।

আজকের ম্যাচে দু'দলেই কোনও পরিবর্তন নেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলানো একাদশ নিয়েই এ ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও আফগানরা।

এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারের মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজকের ম্যাচেও জয় তুলে নিতে চাইবে সাকিব আল হাসানের দল। জয়ী দল উঠে যাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।

টেস্ট, ওয়ানডেতে আফগানদের বিপক্ষে এগিয়ে থাকলেও, টি-টোয়েন্টির এ ফরম্যাটেই তাদের থেকে পিছিয়ে টাইগাররা। র‌্যাংকিংয়ে রশিদ খানরা যেখানে সাতে, সাকিবদের জায়গা হয়েছে সেখানে দশে। আর দুর্বল জিম্বাবুয়ে আছে চৌদ্দ নম্বরে।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সহজ জয় পেয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে থাকা আফগানরা র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের উপরে অবস্থান করলেও  টাইগারদের শক্তিশালী ব্যাটিং ও বোলিং সম্পর্কে বেশ অবগত রশিদ খানরা। তাই, স্বাগতিক বাংলাদেশের পক্ষে জয় পাওয়া যে কঠিন হবে, তা মাথায় রেখেই দল সাঁজাতে ব্যস্ত আফগান অধিনায়ক। 
 
আর, প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৩ উইকেটে হারালেও, টপঅর্ডারদের ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি টাইগাররা। ফলে, সে ম্যাচ ছিল একরকম বাঁচা-মরার। তবে, তারপরও জয় পাওয়ায় মানসিকভাবে এগিয়ে স্বাগতিক বাংলাদেশ।