সাভারে আওয়ামীলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় ফেসবুকে ভুক্তভোগীর স্ট্যাটাস
মনিরুজ্জামান, সাভারঃ
প্রকাশিত : ১০:২১ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার
শনিবার রাতে সাভারের কোটবাড়ী এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হন পৌর আওয়ামীলীগের সম্প্রচার সম্পাদক আব্দুল মজিদ। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন স্বপন মিয়া নামে আরো একজন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য বিএনপি নেতা মিকাইল মোল্লা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে মাদক বিক্রিতে বাঁধা দেওয়ায় আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মজিদকে খুন হতে হয়েছে।
এদিকে সাভারে এই চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনায় ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এঘটনায় অভিযুক্ত সেই মিকাইল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আরো দুইটি হত্যার অভিযোগ করেছেন একই এলাকার এ.কে.এম আসাদুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি। এমনকি মিকাইল ইতোপূর্বে তার বাবাকে হত্যা করেছে ও বর্তমানে নিজের জীবন নিয়েও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও ফেসবুকে উল্লেখ করেন তিনি। অভিযোগকারী এ.কে.এম আসাদুজ্জামান ঢাকা জজকোর্টে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে ফেসবুক সূত্রে জানা গেছে।
ফেসবুকে এ.কে.এম আসাদুজ্জামান এর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘#রেজাউল ১ম
#আমার বাবা আজাদ রশীদ ২য়
#মজিদ হলো ৩য়
#তাহলে ৪র্থ কে❓
প্রিয় ভাই, বন্ধু ও সুধীজন,
আমি আজ যে কারণে আপনাদের সম্মুখে উপস্থিত হয়েছি তার প্রধান কারণ হচ্ছে আমার বাবার মৃত্যুর পূর্বে কোন এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানিয়েছিল তার মৃত্যুর নিশ্চিত বার্তা। আমার বাবা যে মারা যাবে তা একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালার জানার কথা। আজ আমিও এরুপ বিশ্বাস করতে বাধ্য হচ্ছি যে, আমাকেও আমার বাবার পথ ধরতে হবে এবং তা মানব পরিচয়ের দানব গোষ্ঠী জ্ঞাত আছে।
আমার বাবা এ,কে,এম, আজাদ রশীদ ছিলেন সাভার থানার পাথালিয়া ইউনিয়নের স্বনামধন্য চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ এর জেষ্ঠ্য পুত্র। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমার বাবাকে বহু বাধার সম্মুক্ষীণ হতে হয়েছে। আমার বাবাকে হত্যার পর আমি সন্ত্রাসী মিকাইল মেম্বার, মোক্তার ও তার ভাই পূবা মনির বাহিনীর হীন কার্যকলাপের প্রতিবাদ করায় তারা আমাকে একাধিক মামলায় জেল হাজতে পাঠায়। বিভিন্ন ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে আমার বাবার জমি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠলেও এ চক্রটি একাধিক বার ব্যর্থ হয়।
হত্যাই যাদের হাতিয়ার সেই মিকাইল মেম্বার, মোক্তার ও পূবা মনির বাহিনী নিজেদেরকে শুধু বিচারের উর্ধেই মনে করে না বরং বিচার প্রক্রিয়ার বাহিরে থাকাটাই নিজেদের জন্য স্বাভাবিক মনে করে। কারন তারা হত্যা করে, থানায় মামলা হয় এবং পুলিশ এফআইআর দেয় অথবা দুর্বল স্বাক্ষ প্রমানের ভিত্তিতে চার্জশীট প্রদান করে। পরবর্তিতে তারা খুশিতে এলাকায় মিষ্টি বিতরন করে। নিকটতম ভবিষ্যতে আমিও তাদের একজন টার্গেট। আমার আশংকা তারা আমাকে হত্যা করবে এবং পুলিশ দুর্বল চার্জশীট অথবা এফআইআর দেবে।
অতঃপর মোক্তার বাহিনী পুনরায় মিষ্টি বিতরন করবে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এর দৃষ্টি আকর্ষন করছি এই কারণে যে, যদি আমার পিতার মত আমাকে বা অন্য কাউকে এরকম নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয় তাহলে পুলিশের খাম খেয়ালী পূর্ণ চার্জশীট বা এফআইআর প্রদানের পর হত্যাকারীরা যেন মিষ্টি বিতরনের সুযোগ না পায়। তারা যেন প্রকৃত বিচারের সম্মুক্ষীন হয়।
আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমি যেন বিপদকে সাহসিকতার সহিত মোকাবেলা করতে পারি। আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুন। এ.কে.এম.আসাদুজ্জামান (ফেসবুক প্রোফাইল নাম)
আরকে/