ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ-হিজলগাড়ি-উথলী সড়কের বেহাল দশা

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০১:৫৪ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ-হিজলগাড়ি-উথলী সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রায় তিন বছর ধরে এ রাস্তা দুটিতে দেখা দিয়েছে বড় বড় গর্ত। গত কয়েক মাসে বৃষ্টির কারণে অবস্থা আরও নাজুক হয়ে পড়েছে। ফলের এ রাস্তা ব্যবহার না করে বিকল্প দীর্ঘ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় জনসাধারণকে। 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরোজগঞ্জ থেকে হিজলগাড়ি বাজার পর্যন্ত সড়কটির ১৪ কিলোমিটার জুড়েই খানাখন্দ। এ সড়কের পাশে খাড়াগোদা বাজার, সড় সলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ, হিজলগাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি হাট-বাজার। এ ১৪ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বসবাসকারীদের চুয়াডাঙ্গা শহর কিংবা ঝিনাইদহে যেতে হলে একমাত্র এ সড়কই ব্যবহার করতে হয়। বিকল্প কোন সড়ক না থাকায় বেহাল এ সড়ক ব্যবহার করেই যাতায়াত করে থাকেন স্থানীয়রা। 

সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারটি এলাকার বড় ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে হিজলগাড়ি বাজারটিও বড় ব্যবসাকেন্দ্র। এ দুটি ব্যবসাকেন্দ্রের একমাত্র সংযোগ সড়কটি হলো সরোজগঞ্জ থেকে হিজলগাড়ি ১৪ কিলোমিটার সড়ক। সড়কটির নাজুক অবস্থার কারণে দুটি বাজারের ব্যবসায়ী এবং এলাকার ছাত্র, চাকরিজীবী, কৃষকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

অন্যদিকে হিজলগাড়ি বাজার থেকে উথলী পর্যন্ত আট কিলোমিটার রাস্তাটিও প্রায় তিন বছর ধরে ভাঙাচোরা। এ রাস্তারও বিভিন্ন স্থানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আট কিলোমিটার এ রাস্তা দিয়ে শিক্ষার্থীদের উথলী কলেজ, ব্যবসায়ীদের শিয়ালমারী হাট কিংবা জীবননগর যাতায়াত করতে হয়। কৃষিপণ্য বিভিন্ন হাটে পৌঁছতে হলে এ দুই সড়কই এক মাত্র ভরসা তিনটি ইউনিয়নের প্রায় চার লাখ জনসাধারণকে।

হিজলগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মালেক জানান, কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে যেতে হয় সরোজগঞ্জ হাটে। সরোজগঞ্জে প্রতি শুক্র ও সোমবার হাট বসে। ১৪ কিলোমিটারের এ সড়কটি ছাড়া সরোজগঞ্জ যাওয়ার উত্তম বিকল্প সড়ক নেই।  হিজলগাড়ি বাজারে কথা হয় আরিফ হোসেনের সঙ্গে। 

তিনি বলেন, ‘এ রাস্তার বলদিয়া মাদরাসা মোড়, গোপালনগর মোড় এবং সরোজগঞ্জ প্রধান রাস্তার কাছে সবচেয়ে বেশি ভেঙে যাওয়ায় এসব স্থানে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। একটু বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়। পানি জমে থাকা অবস্থায় রাস্তা সম্পর্কে ধারণা নেই এমন কেউ এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়ার ভয় থাকে। এসব স্থানে এর আগে অনেক ভ্যান, ইজি বাইক উল্টে পড়ে গেছে।’ 

সরোজগঞ্জ বাজারের ভুসিমাল ব্যবসায়ী আকিদুল ইসলাম বলেন, ‘সরোজগঞ্জ থেকে হিজলগাড়ি রাস্তা তিন বছর ধরে খারাপ। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের জিজ্ঞেস করলে বলেন টেন্ডার হয়ে গেছে, কাজ হবে; কিন্তু বাস্তবে কোনো কিছুই হয় না।’