মানিকগঞ্জ শহরের ওয়াকওয়ে যেন ময়লার ভাগাড় (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:২৬ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:৩৮ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার
প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত মানিকগঞ্জ শহরের ওয়াকওয়ে যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে শহরবাসীর ভোর কিংবা বিকালের ভ্রমণ। এ অবস্থায় শহরের খালটি দখল ও দূষণমুক্ত করা এখন জনদাবিতে পরিণত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) একুশে টেলিভিশনের মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি সাব্বিরুল ইসলামের তথ্য ও চিত্রে রত্না জামানের প্রতিবেদনে এ বিষয়টি ফুটে উঠেছে।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০০৭ সালে দখলমুক্ত হয়েছিল মানিকগঞ্জর শহরের খালটি। ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হয় ওয়াকওয়ে। এই পথের দেড় কিলোমিটার জুড়ে এখন ময়লা ফেলা হয়। এর আগে মানিকগঞ্জ শহরের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া এই খালটি এক সময় ছিল প্রবাহমান। বছর বিশেক আগেও জলযান চলাচল করতো বছরজুড়ে। শহর এখনও জলাবদ্ধতা মুক্ত এই খালের কল্যানেই। পরবর্তীতে একসময় দখলদারদের থাবা পড়ে এই খাল। পরে ২০০৭ সালে সেনাবাহিনীর সহায়তায় জেলা প্রশাসন খালটি দখলমুক্ত করে। দক্ষিন পাড়ে নির্মাণ করা হয় চার ফুট চওড়া ওয়াকওয়ে আর বেঞ্চ।
এলাকাবাসী জানান, দখলমুক্ত করার কিছুদিন পরই ওয়াকওয়ে দখল যায়। গজিয়ে উঠে মোটরযান মেরামতের ওয়ার্কশপ, ইট ভাঙ্গার মেশিন, খাবর দোকান। আর পাড়ে আবর্জনার স্তুপ। ফলাফল আবারো দুষণ। আবারো দখল। এখন বিপন্নপ্রায় খালটির প্রাণ। এ অবস্থায় খালটিকে দখল ও দুষন মুক্ত করে পুনঃ খননের দাবি পরিবেশ কর্মী খোন্দকার কালেকুজ্জামানের। তিনি বলেন, খালের পানি দখল করে যারা দোকান করছে, তাদের অতি-দ্রুত উচ্ছেদ করে খালটিকে সুন্দর একটা খালে রূপান্তরিত করতে হবে।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ পৌরসভা বেল্লাল হোসেন জানান, খালটি শীঘ্রই আমরা মুক্ত করে পুনঃখনন করবো এবং আগামি ডিসেম্বরে খালটির দরপত্র আহব্বান করতে পারবো বলে আশা করি।
মানিকগঞ্জ পৌরসভা মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম বলেন, যারা অবৈধ দখলদার আছে, তাদেরকে জোরদবরদস্তি না করে তাদেরকে পুনর্বাসন করেই আমরা খালটিকে উচ্ছেদের ব্যবস্থা করবো।
টিআই/