ভারত মূল্য বাড়িয়ে দেয়ায় কমেছে পেঁয়াজ আমদানি (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:১৮ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বুধবার
ভারতের মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন প্রদেশে বন্যায় পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যহত হওয়ায় বেড়েছে পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য। ফলে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে কমেছে পেঁয়াজ আমদানি। যার প্রভাব পড়ছে স্থানীয়সহ বালাদেশের বাজারেও। গত দুই মাসের ব্যবধানে দুই দফা এই মূল্য বাড়িয়ে প্রতি মেট্রিকটন ৮৫২ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর ফলে দেশে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ৮০-৯০ টাকা হবে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এ অবস্থায় বিপাকে হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা।
গত ১ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিটন ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি মূল্য ছিল ৪০৫ থেকে ৪১৫ ডলারের মধ্যে। ভারতীয় কৃষিপণ্য মূল্য নির্ধারণকারী সংস্থা 'ন্যাপেড' শুক্রবার থেকে হঠাৎ করে পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বাড়িয়ে ৮৫২ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করায় প্রভাব পড়ে বাংলাদেশে। মূল্য দিগুণ বেড়ে যাওয়ায় কমে গেছে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি।
হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক বছর আগে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ‘রপ্তানি মূল্য’ তুলে নেয় ভারত সরকার। এরপর থেকে দেশের ব্যবসায়ীরা কোনো রপ্তানি মূল্য ছাড়াই ন্যূনতম ১৫০-২০০ ডলার মূল্যে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করতেন। ফলে বন্দরের ব্যবসায়ীরা ১৫-২০ টাকা পাইকারি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছিলেন। গত দুই মাস থেকে আবার ৩৫০-৪০০ ডলারে বৃদ্ধি করলে ৩২-৩৬ টাকায় পাইকারি বিক্রি হয়। আমদানি কম হওয়ায় স্থানীয় বাজারে প্রতিদিন সকাল-বিকাল বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। ৪৫ টাকার পেঁয়াজ বর্তমানে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়।
বেনাপোল কাস্টম হউজের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয় প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ টন। এর পরিমাণ কমে গেলে তা দেশের চাহিদায় সংকট সৃষ্টি করবে। বাজার সহনশীল রাখতে ও পেঁয়াজের আমদানি গতিশীল করতে কাস্টমস হাউজ ২৪ ঘণ্টা খোলা আছে। পেঁয়াজের কোনো শুল্ক না থাকায় আমদানিকারকরা যে মূল্য ঘোষণা দিচ্ছেন আমরা সে মূল্যেই শুল্কায়ন করে দিচ্ছি।
বাংলদেশি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পেঁয়াজ মৌসুমে প্রতিবারই ভারত এ কাজ করে। শুধু পেঁয়াজ না প্রতিটি খাদ্যদ্রব্যে তারা এমন কাজ করে। দ্রুত দুই দেশের আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি আমদানিকারক, বিক্রেতা ও ভোক্তাদের।
টিআই/