তেলক্ষেত্রে হামলা: ইরানের বিরুদ্ধে প্রমাণ হাজির করল সৌদি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:১৫ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
সৌদি আরবের তেলেক্ষেত্রে হামলার বেশ কয়েকদিন পার হলেও এখনও কে হামলা করেছে তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটছে না। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা দায় স্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্রের দাবি হামলা চালিয়েছে ইরান। এবার ড্রোন আর মিসাইলের ধ্বংসাবশেষ নিয়ে প্রমাণ হাজির করল সৌদি আরব।
সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আল মালকি জানান, হামলায় মোট ১৮টি ড্রোন ও ৭টি স্বল্প পাল্লার মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে। মিসাইলগুলোর রেঞ্জ ৭০০ কিলোমিটার জানিয়ে মুখপাত্র বলেন, এগুলো কখনোই ইয়েমেন থেকে ছুঁড়া সম্ভব নয়।
ড্রোনগুলো উত্তর দিকে থেকে উড়ে এসেছে বলে দাবি করেন তিনি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রও স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে একই দাবি করেছিল। অথচ ইয়েমেনের অবস্থান সৌদি আরবের দক্ষিণে।
তবে শুরু থেকেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইরান। তাদের দাবি, মধ্যপ্রাচ্যকে অশান্ত করে তুলতেই এমন অভিযোগ করছে তারা।
এদিকে, চলমান এ উত্তেজনার মধ্যে সৌদি আরব সফর করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। বৈঠক করেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে।
এর আগে গত শনিবার সকালে ইয়েমেনের সেনাবাহিনী ও গণ কমিটি ঘোষণা করে, তারা তাদের দেশের ওপর গত প্রায় পাঁচ বছরের সৌদি আগ্রাসনের জবাবে দেশটির দু’টি তেল স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। তাদের ঘোষণায় বলা হয়, সৌদি আরবের জাতীয় তেল কোম্পানি আরামকো পরিচালিত ‘আবকাইক’ ও ‘খুরাইশ’ তেল শোধনাগারে ১০টি ড্রোনের সাহায্যে এ হামলা চালানো হয়েছে।
এ ঘটনার পর ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি’ এক বিবৃতিতে বলেন, ইয়েমেনের ওপর পাঁচ বছরের আগ্রাসন ও অবরোধের যে জবাব দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ বৈধ ও স্বাভাবিক। তবে মার্কিন সরকার কোনও দলিল-প্রমাণ উপস্থাপন ছাড়াই ওই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করছে।