হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ
বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:৪৭ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
বাগেরহাটের শরণখোলায় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার উপেক্ষা করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ওই দখলকারীরা উল্টো ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার বাগেরহাট প্রেসক্লাবে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে দেলোয়ার হোসেন বলেন, অবসর নেয়ার পর শান্তিপূর্ণভাবে জীবন যাপন করার ব্যাপক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এলাকার কিছু দুস্কৃতিকারী আমার সম্পত্তির প্রতি লোভের বশবর্তী হয় এবং আমাকে নানাভাবে হয়রানী ও আমার সম্পত্তি গ্রাস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আমি আমার নিজ সম্পত্তি হতে এক একর ৭৮ শতক জমি আর, কে, ডি, এস, বালিকা বিদ্যালয় ও রায়েন্দা পাইলট হাই স্কুলে পূর্বেই দান করেছি। সেই সুবাদে আমার আরও ১৫ শতক জমি জোর পূর্বক দখল করার জন্য বিভিন্ন প্রকার ষড়যন্ত্র করে আসছে। কখনও ক্রয় করার প্রস্তাব দেন আবার কখনও এই জমি পেতে হলে আমাদেরকে ৫ পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানায়। এ অবস্থায় এই জমিতে আদালতে ৩৭/১৫ বাটোয়ারা মামলা শরণখোলা চলমান রয়েছে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার নাম অপব্যবহার করে আব্দুল খালেক আর, কে, ডি, এস, বালিকা বিদ্যালয় রায়েন্দার পক্ষ থেকে আমার নিষেধাজ্ঞা মামলার জবাব দেন। জমি পাওয়া জন্য তারা বিভিন্ন অবৈধ পন্থা অবলম্বন করেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ১১ সেপ্টেম্বর উভয়ের সামনে নোটিশ জারি করেন ও আদালত সাইনবোর্ড স্থাপন করেন। বিবাদীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে শরণখোলা উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আ. খালেক খান ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলনের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড কুপিয়ে ভেঙ্গে সীমানা প্রাচীরের কাজ চালাচ্ছে। আমি বাধা দিলে বিবাদীরা আমাকে বলে যে এই বিষয় নিয়ে আর যদি কাউকে জানাও তাহলে তোমাকে খুন করে গুম করে জমিতে পুঁতে দেব। এ অবস্থায় আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। প্রশাসনের প্রতি আমার দাবি, আমি যাতে ন্যায় বিচার পেতে পারি তার সহযোগিতা কামনা করছি।