ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারলো বাংলাদেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৫৪ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শুক্রবার
হার দিয়েই ভারত সফরের সূচনা করল সাইফের দল। ভারতকে ১৯২ রানে আটকে দিয়েও জিততে পারলো না বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় স্বাগতিক অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কাছে সাইফ বাহিনী হেরেছে ৩৪ রানের ব্যবধানে। যাতে চার ম্যাচের সিরিজে ০-১ এ পিছিয়ে পড়লো সফরকারীরা।
শুক্রবার লক্ষ্ণৌতে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রথম একদিনের ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উকেটে ১৯২ রান সংগ্রহ করে ভারত। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন আরিয়ান জুয়াল। জবাবে ৮ বল বাকি থাকতেই ১৫৮ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
১৯৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেন সাব্বির হোসাইন। এরপর দুই চারের সাহায্যে ১২ রান করে আউট হন অধিনায়ক সাইফ হাসান। দ্রুত দুই ওপেনারকে হারিয়ে দল যখন বিপদে তখনই বিদায় নেন ইয়াসির আলী। ২৬ বল থেকে মাত্র ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন চট্টগ্রামের এই ব্যাটসম্যান।
টপ-অর্ডারের এ তিন ব্যাটসম্যানের দ্রুত বিদায়ে যারপরনাই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে সেই চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়ে যান আল-আমিন জুনিয়র (৪) ও জাকের আলি (৩)। এ দুজনের দায়িত্বহীনতায় ৪৬ রানেই পঞ্চম উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে দল।
এরপর ষষ্ঠ উইকেটে দলের বিপর্যয় এড়ানোর প্রত্যয়ে জুটি গড়েন জাকির হাসান ও আরিফুল হক। বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে দলকে জয়ের স্বপ্নও দেখান তারা। অর্ধশতকের মাইলফলক থেকে জাকির যখন ২ রান দূরে তখন মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। আউট না হলেও দূর্ভাগ্যজনকভাবে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
জাকির মাঠ ছাড়ার পর আরিফুলের সঙ্গে যোগ দেন মেহেদী হাসান। সমান ১ চার ও ছক্কায় দ্রুতগতিতে ২০ রান করে ফেরেন মেহেদী। এরপর ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেননি আবু হায়দার। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরের পথ ধরেন রনি।
এসময়ে দলের হাল ধরে বেশ কিছুক্ষণ লড়াই চালানোর পর বাকি ব্যাটসম্যানদের পথই অনুসরণ করেন অলরাউণ্ডার আরিফুল হক। ৩৮ রান করে আরিফুলের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। শেষদিকে রবিউল হকের ২১ রান কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে।
এর আগে বোংলিংয়ে করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে থাকে টাইগার বোলাররা। স্কোরবোর্ডে কোনও রান যোগ করার আগেই উইকেট হারানো ভারত ঘুরে দাঁড়ায় দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে। মাধব কৌশিক ও বি আর শরৎ গড়ে তোলেন প্রতিরোধ। ৬৬ রানের জুটি গড়ে তারা যখন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণের পথে তখন টাইগারদের হয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন পেসার শফিকুল ইসলাম। দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে ফেরান ৪২ রান করা শরৎকে।
তার আউটের রেশ না কাটতেই দলকে সাফল্য এনে দেন মেহেদী। মেডেন ওভার দিয়ে বোলিং স্পেল শুরু করা এ স্পিনার এরপর রীতিমত তাণ্ডব চালান। বল হাতে তার বোলিং তাণ্ডবে একে একে সাজঘরে ফিরেন প্রিয়াম গার্গ (৪), রিতিক রয় (১৮)। যাতে বোর্ডে ৯৯ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা।
এমন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন জুয়াল। মেহেদীর ১০ ওভারের কোটা শেষ হওয়ার পর আক্রমণে আসেন সাইফ। তার বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্তে বোলিংয়ে পান সফলতাও। ৭ ওভারের স্পেলে ২৩ রান খরচায় নেন ২ উইকেট। তবে শেষদিকে সবকিছু ছাপিয়ে যান জুয়াল।
এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের রানের চাকা সচল রেখে এগিয়ে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত তার ৬৯ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৯২ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে ২৯ রানের বিনিময়ে মেহেদী সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন। তাছাড়া সাইফ ও রনি লাভ করেন দুটি করে উইকেট। আর নিজেদের নামের পাশে একটি করে উইকেট জমা করেন শফিউল ও রবিউল।
এনএস/