সাকিবের ব্যাটে ছুটছে বাংলাদেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০২ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ১০:০৬ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শনিবার
আফগানিস্তানকে ১৩৭ রানে থামিয়ে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সাকিব-মুশফিকের জুটিতে বিপদ সামলে উঠলেও ফের দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। যদিও ফিফটি হাঁকানো দলপতি সাকিবের ব্যাটেই কাঙ্ক্ষিত জয়ের লক্ষ্যে ছুটছে দল।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৮ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ১৩০ রান। উনিশতম ফিফটি হাঁকানো সাকিব ৬৮ রানে আর মোসাদ্দেক ১২ রানে ক্রিজে আছেন। প্রথম ম্যাচে ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলা আফিফ হোসাইন এদিন ফেরেন মাত্র ২ রানে।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই মুজিবের বলে অধৈর্য হয়ে মিডঅনে ক্যাচ তুলে দেন লিটন দাস। ১০ বল খেলে সাজঘরে ফেরেন মাত্র ৪ রানেই। পরের ওভারেই তার পথে হাঁটেন আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন। নাভিদের বলে রশিদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে এই বাঁহাতি ফেরেন ৫ রানেই। ফলে ১২ রানেই দ্বিতীয় উইকেট খোয়ায় বাংলাদেশ।
পরে মুশফিক ২৫ বলে এক ছয়ে ২৬ করে, আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক মাহমুদউল্লাহ ৬ রানে এবং এ ম্যাচে সুযোগ পাওয়া সাব্বির মাত্র ১ রানে সাজঘরে ফেরেন।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে মাহমুদউল্লাহর হাত ফসকে জীবন ফিরে পেয়ে রীতিমত তাণ্ডব চালান হযরতুল্লাহ জাজাই। কিছুতেই দমানো যাচ্ছিল না তাকে। তবে দশম ওভারে হাত ঘুরাতে এসেই জাজাইসহ দুই উইকেট তুলে নেন আফিফ হোসেন। অন্য বোলাররাও তার দেখানো পথে হাঁটলে ১৩৭ রানে থামতে বাধ্য হয় আফগানিস্তান।
এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নেমে দারুণভাবেই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। সাইফুদ্দিন, শফিউল ইসলাম ও সাকিব আল হাসান প্রথম পাঁচ ওভারে দিলেন মাত্র ২৬ রান। এরপরই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন জীবন পাওয়া হযরতুল্লাহ জাজাই। ২ চার ১ ছয়ে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের করা ষষ্ঠ ওভার থেকে তুলে নেন ১৬ রান। তবে ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা জাজাইকে বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে দেননি তরুণ আফিফ।
সিরিজে নিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে বাংলাদেশকে জিতিয়েছিলেন। তবে বোলিংয়ে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। আজ প্রথমবারের মতো আফিফের হাতে বল তুলে দেন সাকিব আল হাসান। তাতেই বাজিমাত! নিজের প্রথম ওভারে কোন রান না দিয়েই ভয়ঙ্কর জাজাই (৩৫ বলে ৪৭) ও আসগর আফগানকে (০) ফিরিয়েছেন আফিফ।
এর পর মোস্তাফিজ, সাকিব, সাইফুদ্দিন ও শফিউলদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একে একে সাজঘরে ফেরেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ২৯ রানে, মোহাম্মদ নবী ৪ রানে, গুলবাদিন নাইব ১ রানে, নজিবুল্লাহ জাদরান ১৪ রানে এবং করিম জানাত ৩ রানে।
শেষ পর্যন্ত শফিকুল্লাহ ২৩ রানে এবং রশিদ খান ১১ রান করলে বাংলাদেশের সামনে ১৩৮ রানের লক্ষ্য দিতে সক্ষম হয় সফরকারীরা। বাংলাদেশের পক্ষে আফিফ ৯ রানে ২টি উইকেট নেন। এছাড়া শফিউল, সাইফুদ্দিন, মোস্তাফিজ ও সাকিব ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরু করে বাংলাদেশ। যে কারণে দেখেশুনে খেলা শুরু করলেও দ্বিতীয় ওভারে স্কয়ার লেগের উপরে ক্যাচ তুলে দেন হযরতুল্লাহ জাজাই। কিন্তু সে ক্যাচ রাখতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ।
চলমান ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে আগেই। যে কারণে আজ (শনিবার) আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটা হয়ে পড়েছে অনেকটাই নিয়মরক্ষার। যে ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু আসলেই কী শুধু ‘নিয়মরক্ষার’ ম্যাচ মনে করছে বাংলাদেশ? অবশ্যই না। জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নেমেছে টাইগাররা।
সেই ২০১৪ সালে প্রথম জয় পেয়েছিল। তারপর থেকে এ পর্যন্ত আফগানিস্তানকে টি-টোয়েন্টিতে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। কদিন আগে টেস্টেও নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে আফগানদের কাছে। তাই আজ আফগান জুজু নিশ্চয় কাটাতে চাইবে সাকিব আল হাসানের দল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
এনএস/