বন্ধের মধ্যেই চলছে বশেমুরবিপ্রবিতে আন্দোলন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫৩ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হলেও আজ রোববার ৫ম দিনের মতো আন্দোলনে সরব রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার সকাল থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করে বিক্ষোভ করছেন।
এর আগে শনিবার থেকে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে উপাচার্যের অপসারণ বা পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত যে পন্থাই প্রশাসন হাতে নিক না কেন আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। হলের বিদ্যুৎ, পনি বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষার্থীরা হল না ছেড়ে ক্যাম্পাসেই অবস্থান নেয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। শনিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন, উপাচার্য সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে তাদেরকে পিছু হঠাতে চেষ্টা করছেন। শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন সহকারী প্রক্টর হুমায়ুন কবির। আর অচলাবস্থা নিরসনে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
এদিকে শিক্ষার্থীদের মারধরের প্রতিবাদ ও উপাচার্য খন্দকার নাসির উদ্দিন আন্দোলকারীদের জানোয়ার বলায় তার কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ করেছে জাহাঙ্গীরনগর, মশাল মিছিল করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি, নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগে উপাচার্য খন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে গত বুধবার থেকেই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর ফেইসবুকে স্ট্যাটাসের জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কারের বিষয়ে দেশ ব্যাপি সমালোচনা হলে গত বুধবার সন্ধ্যায় তার বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয় প্রশাসন। তবে বুধবার রাতেই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে বুধবার রাতেই ১৪টি সমস্যার সমাধান করার কথা উল্লেখ করে একটি বিজ্ঞপ্তিও দেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, নারী কেলেঙ্কারী, ভর্তি ও নিয়োগ দুর্নীতি, প্রকল্প দুর্নীতি, বাকস্বাধীনতা হরণ, শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে না পারা, আবাসন সংকট, বৃক্ষরোপনসহ বিভিন্ন খাতের মাধ্যমে অর্থ লোপাট, গুন্ডাবাহিনী তৈরিসহ নানা বিষয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
এমএস/