শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে জবিতে মানবববন্ধন
জবি সংবাদদাতা,
প্রকাশিত : ০৩:৫১ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে উপাচার্যের পেটুয়া বাহিনীদের হামলার প্রতিবাদে দফায় দফায় মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রজোট, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদ এবং গোপালগঞ্জ জেলার সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শান্ত চত্বরে দুপুর ১২টায় প্রগতিশীল ছাত্রজোট, দুপুর ১টায় গোপালগঞ্জ জেলার সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং দুপুর দেড়টায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদ মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং বিচার দাবি করেন। উপাচার্যের নানা অপকর্ম উল্লেখ পূর্ব তার অপসারণের দাবি জানান তারা।
এসময় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক রাইসুল ইসলাম নয়ন বলেন, যে উপাচার্য প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখে না তাকে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য বানানো হয়েছে, আমরা তার অপসারণ দাবি করছি। এছাড়াও বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে সমর্থন জানাচ্ছি।
জবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি প্রসেনজিৎ সরকার বলেন, বশেমুরবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলা খুবই ন্যাক্কারজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অনতিবিলম্বে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করা এবং সামান্য ফেসবুক স্ট্যাটাসের জন্য শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা উপাচার্যের স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। আমরা তার অবিলম্বে পদত্যাগ চাই।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গোপালগঞ্জ জেলার এক সাধারণ শিক্ষার্থী বলেন, উপাচার্য খন্দকার নাসির উদ্দিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগসহ নারী কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছে। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছেন, আমরা তার দ্রুত বিচার দাবি ও হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার বশেমুরবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর আতর্কিত হামলা চালায় উপাচার্যের পেটুয়া বাহিনী। বশেমুরবিপ্রবি প্রশাসন তুচ্ছ কারণে বহিষ্কার এবং উপাচার্যের স্বৈরাচারী আচরণ, দুর্নীতি, শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ ইত্যাদি কারণে উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।
আই/