ক্লাব পাড়ায় পুলিশের অভিযান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৫৮ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৫:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার
জুয়া-ক্যাসিনো বন্ধে রাজধানীর মতিঝিলের চার ক্লাবে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। রোববার বিকেল তিনটার পরে এ ক্লাবগুলো অভিযান শুরু করে পুলিশ। মতিঝিলের উপ পুলিশ কমিশনর (ডিসি) আনোয়ার হোসেন অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ক্লাবগুলো হলো- আরামবাগ, দিলকুশা, মোহামেডান ও ভিক্টোরিয়া ক্লাব। এ ক্লাবগুলো ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের নিয়ন্ত্রনে বলে জানা যায়।
ডিসি আনোয়ার বলেন, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন ক্লাবে অভিযানের পর বিভিন্ন ক্লাব থেকে জিনিসপত্র এ ক্লাবে এনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া এখানে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগও রয়েছে।’
উল্লেখ্য, গেল সপ্তাহ থেকে রাজধানীর বেশ কয়েকটি ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)। একইসঙ্গে গুলশান ২ নম্বরের ৫৯ নম্বর সড়কে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া বাসা এবং ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে একযোগে অভিযান চালায় র্যাব। শাজাহানপুরের রেলওয়ে কলোনিতে বেড়ে ওঠা খালেদ ফকিরাপুলের ওই ক্লাবের সভাপতি।
কয়েক ঘণ্টার অভিযানে ওই ক্লাবে ক্যাসিনো বসিয়ে জুয়ার আড্ডা চালানোর বিপুল আয়োজন পাওয়া যায়। সেখান থেকে ২৪ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়। আর গুলশানের বাসা থেকে খালেদকে গ্রেফতারের পর তার বাসায় ৫৮৫টি ইয়াবা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং অবৈধ অস্ত্র পাওয়ার কথা জানায় র্যাব।
ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবের পাশাপাশি ওই এলাকার ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, বঙ্গবন্ধু এভিনিউর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র এবং বনানীর আহমেদ টাওয়ারে গড়ে তোলা একটি ক্যাসিনোতেও অভিযান চালায় র্যাব।
দেশের বিভিন্ন ক্লাবে অবৈধভাবে জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে। তবে বাংলাদেশেও যে স্লট মেশিন, রুলেট টেবিলের মত সরঞ্জাম নিয়ে পুরোদস্তুর ক্যাসিনো চলে, সে খবর সাধারণ মানুষের কাছে নতুন।
পুলিশের নাকের ডগায় কীভাবে এসব ক্যাসিনো এতদিন চলে আসছে, সেই প্রশ্ন ওঠে ইয়ংমেনস ক্লাবে র্যাবের অভিযানের পর।
এর দুই দিনের মাথায় শুক্রবার ঢাকার কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ও ধানমণ্ডি ক্লাবেও অভিযান চালায় র্যাব। কলাবাগান ক্রীড়াচক্র থেকে ক্লাব সভাপতি কৃষক লীগ নেতা সফিকুল আলম ফিরোজসহ পাঁচজনকে অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। ধানমণ্ডি ক্লাবের বারে কী পরিমাণ মদের মজুদ আছে, সেই হিসাব জমা দিতে বলা হয়।
শনিবার চট্টগ্রামের পাঁচটি ক্লাবে একযোগে অভিযান শেষে তিনটি ক্লাবে জুয়ার আসর চালানোর প্রমাণ পাওয়ার কথা জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
এমএস/