ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার

পুঁজিবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো যেন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে পারে, সেজন্য নীতিমালা সহজ করেছে। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো প্রজ্ঞাপনে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব পোর্টফোলিওতে সরাসরি বিনিয়োগ অথবা সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে ৯টি শর্ত পরিপালন করতে বলা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে অধিকাংশ ব্যাংকের অগ্রিম ও আমানতের অনুপাত নির্ধারিত মাত্রা অপেক্ষা কম এবং এসএলআর সংরক্ষণের পর অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। এসব ব্যাংকের জন্য আইনি সীমার মধ্যে থেকে পুঁজিবাজারে মৌলভিত্তিক ইন্সট্রুমেন্টে বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ব্যাংকগুলোর এমন বিনিয়োগে অংশগ্রহণ পুঁজিবাজারে তারল্য সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি একটি গতিশীল পুঁজিবাজার নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।

এ ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে যে ৯টি শর্ত পরিপালন করতে বলা হয়েছে, সেগুলো হলো:
(ক) তারল্য সুবিধা গ্রহণেচ্ছুক ব্যাংকগুলোকে তারল্য সুবিধা গ্রহণের পরও নির্ধারিত বিনিয়োগসীমা পরিপালন করতে হবে।

(খ) এই সুবিধার অধীনে প্রাপ্ত তারল্য শুধু ব্যাংকের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে সরাসরি বিনিয়োগ অথবা সাবসিডিয়ারি কোম্পানির নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট সাবসিডিয়ারি কোম্পানিকে ঋণ হিসেবে দেওয়া যাবে।

(গ) প্রাপ্ত তারল্য ব্যাংকের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বা সাবসিডিয়ারি কোম্পানির নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগের জন্য নতুনভাবে পৃথক বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।

(ঘ) ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য হতে ট্রেজারি বন্ড বা বিল রেপোর মাধ্যমে এই তারল্য সুবিধা গ্রহণ করতে হবে। ট্রেজারি বন্ড বা বিলের রেপো মূল্যের ৫ শতাংশ মার্জিন হিসেবে রেখে তারল্য সুবিধা দিতে হবে। নগদে রেপোর অর্থ পরিশোধে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখে সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজের বাজারমূল্য আদায়যোগ্য অর্থ অপেক্ষা কম হলে তা ইতোপূর্বে গৃহীত মার্জিন থেকে সমন্বয় করা হবে। সমন্বয়ের জন্য অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হলে ব্যাংক তা  দিতে বাধ্য থাকবে।

(ঙ) প্রাথমিকভাবে রেপোর মেয়াদ ২৮ দিন হলেও তহবিল ব্যবহারের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে তা সর্বোচ্চ ৬ মাস পর্যন্ত ঘূর্ণায়মাণ রাখা যাবে। এ ধরনের রেপোর জন্য কোনও নিলামের প্রয়োজন হবে না। আর সুদের হার হবে ৬ শতাংশ।

(চ) এ ধরনের তারল্য সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করা অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন এবং এই উদ্দেশ্যে সদ্য খোলা বিও হিসাবের প্রমাণপত্রসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপকের (ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন)  কাছে আবেদন করতে হবে।

(ছ) মেয়াদোত্তীর্ণ রেপো নবায়নের প্রয়োজন হলে তহবিল ব্যবহারের প্রমাণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিও অ্যাকাউন্টের বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপকের (ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন)  কাছে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ৫ কার্যদিবস আগে আবেদন করতে হবে।

(জ) প্রজ্ঞাপন জারির ৩ মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর আবেদন দাখিল করতে হবে।

আরকে//