ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

বিকেএমইএ’র নির্বাচনে ২৭ টি পদে মনোনয়নপত্র জমা 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৪৫ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার

বিকেএমইএ’র পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন (২০১৯-২১) উপলক্ষ্যে শিডিউল মোতাবেক ২৭ টি পদের বিপরীতে জমা দেওয়ার দিনে ২৭ মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে নীট শিল্পমালিকরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর উক্ত মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষাণা করবেন নির্বাচন বোর্ড।

উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে মনোনয়পত্র বিতরণ শুরু হয় এবং ২১ সেপ্টেম্বর ছিলো এর শেষ দিন। কিন্তু ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনো শিল্প মালিক মনোনয়নপত্র ক্রয় করেননি। শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর এ.কে.এম সেলিম ওসমান বিকেএমইএ’রপরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে (২০১৯-২১) সম্মিলিত নীট ফোরামের পক্ষ থেকে মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেন। এর পর তিনটি ঐচ্ছিকসহ সর্বমোট ৩০ জন শিল্প মালিক মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেন। 

২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে একেএম সেলিম ওসমানের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল থেকে ১৫ জন, মনসুর আহমেদের নেতৃত্বে ঢাকা অঞ্চল থেকে ৭জন, গাওহার সিরাজ জামিলের নেতৃত্বে চট্রগ্রাম অঞ্চল থেকে ৫জন নীট শিল্পমালিক নির্বাচন বোর্ডের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর কাছে তাদের মনোনয়নপত্র হস্তান্তর করেন। যে শিল্প মালিকরা ঐচ্ছিকভাবে মনোনয়নপত্র ক্রয়করেছিলেন তারা তা জমা দেননি।

প্রসঙ্গত একেএম সেলিম ওসমান ২০১৯-২১ মেয়াদে বিকেএমইএ পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না বলে ঘোষণা দেন। পরিপ্রেক্ষিতে সেলিম ওসমান মনোনয়নপত্র ক্রয় না করলে কোনো নীট শিল্প মালিক মনোনয়নপত্র ক্রয় করবেন না বলে জানান। ফলে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হলেও গত ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন শিল্প মালিক তাদের পক্ষে মনোনয়নপত্র ক্রয় করেননি। 

এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে মোহাম্মদ হাতেমের নের্তৃত্বে নীট শিল্প মালিকদের এক সভায় দেড় শতাধিক নীট শিল্প মালিক একেএম সেলিম ওসমানকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুরোধ জানান। এছাড়াও গত ১২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের গ্র্যান্ড হল রেষ্টুরেন্টে আরেকটি সভায় নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন শতাধিক নীট মালিক সেলিম ওমানের প্রতি একই অনুরোধ জানান। তাদের সবার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতেই গত ২১ সেপ্টেম্বর একেএম সেলিম ওসমান ৫ম বারের মতো বিকেএমইএ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন। এর পরই তিনটি ঐচ্ছিকসহ সর্বমোট ৩০ টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়।

আরকে/