জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য গাইডবুক চালু করল স্ট্যান্ডার্ড চার্টার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:১৬ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ একটি গাইড বুক উন্মোচন করেছে যা বাংলাদেশে জাপানি ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিচালনা করতে সহায়তা করবে।'রাইজিং টাইডস" শীর্ষক ইভেন্টে “ডুয়িং বিজনেস ইন বাংলাদেশ” নামের গাইড বুকটি উন্মোচন করা হয় যা জাপানি এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করবে। এই ইভেন্টটি বাংলাদেশের নীতি নির্ধারক এবং শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেটদের সাথে বাংলাদেশের জাপানি ব্যবসায়ী ও কুটনৈতিক সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকে একত্রিত করেছে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, বাংলাদেশ এই গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ-জাপান করিডোর জুড়ে বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভ‚মিকা পালন করছে। বাংলাদেশে জাপানি ব্যবসায়ের জন্য উন্নতর অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য ব্যাংক একটি ডেডিকেটেড জাপান-বাংলাদেশ ডেস্ক চালু করে। ২০১৮ সালে ব্যাংকটি জাপানি এবং বাংলাদেশী কম্পানির মধ্যে একটি যুগান্তকারী ট্র্যানসেকশন সম্পন্ন করেছে, যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে একক বৃহত্তম বিদেশী বেসরকারী বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশের একক বৃহত্তম কনসিউমার সেক্টর অধিগ্রহণ হিসেবে স্বীকৃত। মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র, কাঁচপুর গ্যাস প্রকল্প এবং এমআরটি লাইন ৬-এর মতো জাপানের অর্থায়নে পরিচালিত বড় মেগাপ্রজেক্টগুলির জন্যও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত ব্যাংক।
অনুষ্ঠানে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, বাংলাদেশ-এর সিইও জনাব নাসের এজাজ বিজয় বলেন, “সময়ের ব্যবধানে জাপান ও বাংলাদেশ বিশেষ স¤পর্ক আরো জোরদার হয়েছে। দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সরকার এবং বেসরকারী খাতের মধ্যে স¤পর্ক সা¤প্রতিক বছরগুলিতে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বর্তমান সময়ে জাপানি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। উন্নত বাজারে প্রবৃদ্ধির ধীরগতি এবং মার্কিন-চীন বাণিজ্য স¤পর্কের টানাপোড়নের প্রভাব একই সময়ে এক দশকের বেশী সময় ধরে বাংলাদেশের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির কারনে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি আদর্শ স্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে জরুরি ভিত্তিতে কিছু প্রশাসনিক ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে আরো সহজ করা প্রয়োজন। আমরা এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে খুবই আশাবাদী এবং উভয় দিকেই আমাদের ক্লায়েন্টদের সেবা দিতে নিয়োজিত।”
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সরকার-এর এসডিজি বিষয়ক চীফ কো-অর্ডিনেটর আবুল কালাম আজাদ, জাপান দুতাবাসের ডেপুটি চীফ অব মিশন হিরোয়ুকি ইয়ামায়া, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অফিস বাংলাদেশ-এর সিইও মুহাম্মদ আলকামা সিদ্দিকী, জেট্রো বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউজি অ্যান্ডো এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড জাপান-এর সিইও ইয়াসুনোরি টাকেউচি।
কেআই/