ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্ত্রীর আত্মসমর্পণ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৫:৪৫ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার

পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী শরিফুল ইসলামকে (৪০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তৃতীয় স্ত্রী। পরে পুলিশকে ফোন দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে মালেকা বেগম (২৮) নামে ওই নারী নিজেই। সোমবার ভোর রাতে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বগুড়াপাড়া এলাকায়। 

নিহত শরিফুল ইসলাম কুমারপুর গ্রামের নবিবর রহমানের ছেলে এবং ঘাতক মালেকা বেগম একই এলাকার মজিবর রহমানের মেয়ে।

সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান (পিপিএম) ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শরিফুল ইসলাম ২০০৬ সালে পারিবারিকভাবে শরিফা বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। ২০০৭ সালে ওই নারীর আকস্মিক মৃত্যূ হলে ২০০৮ সালে ঝরণা বেগম নামে আরেক নারীকে বিয়ে করেন শরিফুল ইসলাম। 

এরপর ২০১২ সালে প্রতিবেশী মালেকা বেগমের সঙ্গে শরিফুল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তাকেও বিয়ে করেন তিনি। এ নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্ত্রীর মাঝে বিরোধ শুরু হয়। এর জেরে দ্বিতীয় স্ত্রী ঝরণা বেগম নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আদালতে স্বামীসহ মালেকার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। 

অপরদিকে তৃতীয় স্ত্রী মালেকা বেগমও একই আইনে স্বামীসহ দ্বিতীয় স্ত্রী ঝরণার বিরুদ্ধে পাল্টা আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
 
মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকেই তাদের সংসারে পারিবারিক কলহ চরম আকার ধারণ করলে সম্প্রতি প্রতিবেশিদের উদ্যোগে তাদের কলহ কিছুটা কমে আসে এবং তৃতীয় স্ত্রী মালেকা বেগম এক মাস ধরে অন্য একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। 

এরইমধ্যে সোমবার দিবাগত রাতে স্বামী শরিফুল ইসলাম লুকিয়ে মালেকার বাড়িতে যায়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া শুরু হলে শরিফুল তার স্ত্রী মালেকাকে বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে মালেকা বেগম ধারালো বসিলা দিয়ে তার স্বামীর মাথায় ও শরীরে এলাপাথারী কোপাতে থাকলে ঘটনাস্থলেই স্বামীর মৃত্যূ হয়। পরে মালেকা বেগম নিজেই সদর থানায় ফোন করে স্বামীকে হত্যার ঘটনা জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মালেকা আত্মসমর্পণ করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ওসি তদন্ত চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং পুলিশ পুরো বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখছে।

এনএস/