ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

৯ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য হলসিট মাত্র নয়`শ!

বেরোবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৬:০৯ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় ৯ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে আবাসিক হলগুলোতে আসন সংখ্যা মাত্র ৯৩৭টি। ফলে সিংহভাগ শিক্ষার্থীদেরকে নির্ভরশীল হতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার মেসগুলোর উপর।

বেরোবি সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার জন। কিন্তু তিনটি আবাসিক হল মিলে আসন সংখ্যা মাত্র ৯৩৭টি। এর মধ্যে ছেলেদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে সর্বাধিক আসন ৩৫৫টি ও শহীদ মুখতার ইলাহী হলে ২৪০টি। আর মেয়েদের জন্য একমাত্র শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে ৩৪২টি আসন রয়েছে। যা মোট শিক্ষার্থীর তুলনায় অতি নগণ্য।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য যে আবাসন আছে তা খুবই নগণ্য। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত আরও হল নির্মাণ করে শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা সমাধান করা।

এদিকে বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীর আবাসন সুবিধা না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার আশপাশে গড়ে উঠেছে শতাধিক আবাসিক মেস। যে মেসগুলোতে গাদাগাদি করেই থাকছে শিক্ষার্থীরা। রয়েছে নানান বিপত্তি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, অপরিচ্ছন্ন সেমিপাকা ঘর, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার অভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মেসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ঘটছে ব্যাঘাত। এর মধ্যেও মেসের চড়া মূল্য ও খাবার বিল দিতে অতি কষ্টে দিন অতিবাহিত করছে গরিব শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, চরম আবাসন সংকট নিরসনে তেমন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বছরের পর বছর অতিবাহিত হলেও ছেলেদের জন্য নতুন হল নির্মাণ করার তেমন কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুদানে নির্মানাধীন ‘শেখ হাসিনা’ হলও চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি প্রকৌশলী কমলেশ চন্দ্র সরকার জানান, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুদানে মেয়েদের জন্য ‘শেখ হাসিনা’ হল নির্মাণ করা হচ্ছে। এখন পযর্ন্ত নতুন কোনও হল নির্মাণের ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা নির্মাণের ২য় ফেজের কাজে নতুন নতুন হল নির্মাণ করা হবে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহকে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে কোন সাড়া দেননি তিনি।

এনএস/