ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

ফলোন্নয়ন পরীক্ষার নিয়ম পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৩২ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) ফলোন্নয়ন পরীক্ষায় সিজিপিএ নির্ধারণের নিয়ম পরিবর্তনসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার(২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় জয় বাংলা ভাষ্কর্যের পাদদেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের নিচে অবস্থান নেয়।

শিক্ষার্থীরা জানায়, এ মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করা না হলে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবে।এসময় তারা 'প্রশাসনের কালো আইন, মানি না মানবো না' স্লোগান দিতে থাকে। 

শিক্ষার্থীরা আরও জানায়,বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী সিজিপিএ ৪.০০ এর মধ্যে ২.২৫ এর নিচে পেলে ফলোন্নয়নের জন্য পুনঃপরীক্ষা দিতে পারবে এবং সেই পুনঃপরীক্ষায় প্রাপ্ত সিজিপিএ থেকে সর্বোচ্চ ৩.০০ গৃহীত হয়। ফলোন্নয়ন পরীক্ষায় কেউ ৩.৫০ বা ৩.৭৫ পেলেও শুধু ৩.০০ গৃহীত হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা শেখ সুজন আলী, প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, সহকারী প্রক্টর সাকার মুস্তাফা, শাহজাদা আহসান হাবীব, সঞ্জয় কুমার মুখার্জি প্রমুখ।শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক বলে সম্মতি জানিয়ে তারা জানান, ‘পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় বিষয়টি উত্থাপিত হবে। সিন্ডিকেট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'

অন্যদিকে বিক্ষোভ মিছিল শেষে একই বিষয়ে ৩য় বারের মতো শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত)বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সিজিপিএ ৩.০০ পর্যন্ত ফলোন্নয়ন দেয়া যায় এবং পুনঃপরীক্ষায় প্রাপ্ত সম্পূর্ণ সিজিপিএ গৃহীত হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখিত শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবিসমূহ হল 

১. ফলোন্নয়ন পরীক্ষার মান ২.২৫ এর নিচে বাতিল করে ৩.০০ সিজিপিএ নির্ধারণ করতে হবে।
২. ফলোন্নয়ন পরীক্ষার প্রাপ্ত সিজিপিএ সম্পূর্ণ গৃহীত হোক। অর্থাৎ, ‘৩.০০ সিজিপিএ শুধু গৃহীত হোক’– এই কালো আইন বাতিল করতে হবে।
৩. ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে চলমান শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত কালো আইন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের ফলোন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করতে হবে।

উল্লেখ্য,২০১৮ সালের ১৪ মার্চ এবং এ বছরের ৭ এপ্রিল একই বিষয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। তখন দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড.এএইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেছিলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক, এটা সংশোধনের উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিবে। কিন্তু সেই আশ্বাস প্রদানের দীর্ঘদিন পরও বিষয়টির সুষ্ঠু সুরাহা না হওয়ায় ক্ষোভ জানান শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে আরও জানা যায়, এ মাসের ৩০ তারিখ সিন্ডিকেট সভার পরবর্তী মিটিং রয়েছে। ওইদিন এই নিয়ম পরিবর্তন করা না হলে আরও কঠোর আন্দোলন করার হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
কেআই/