ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

আখাউড়ায় মাদক ব্যবসায়ী-আদম পাচারকারীর বাড়ি চিহ্নিতকরণ 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:৫২ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার

মানবপাচার রোধ ও মাদক নির্মূলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় ব্যতিক্রমী কার্যক্রম শুরু করেছে র্বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্তরক্ষী বাহিনীটির হাতে কোনও মানব পাচারকারী, মাদক ব্যবসায়ী, মাদক বিক্রেতা কিংবা মাদকসেবী আটক হলেই তাদের বাড়িতে সাইনর্বোড ঝুলিয়ে দেয়া হচ্ছে। 

আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ ধরনের অপরাধীদেরকে নিরুৎসাহিত করা ও মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারীদেরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তাদের বাড়ি চিহ্নিতকরণ ও বাড়ির সামনে ব্যানার কিংবা দেয়ালে বড় অক্ষরে লিখে দেয়া হচ্ছে- ‘মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি’, ‘ইয়াবা ব্যবসায়ীর বাড়ি কিংবা মানবপাচারকারীর বাড়ি’। 

বিজিবি সূত্র জানায়, আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ এালাকার ত্রিপুরা সীমান্তঘেষা ঘাগুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোশারফ হোসেন ও তার স্ত্রী রত্না বেগম চিহ্নিত মানবপাচারকারী ও মাদকবিক্রেতা। ওই গ্রামের সড়কের পাশেই তাদের টিনশেড বাড়ি। 

গত ২৪ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘাগুটিয়া এলাকার ২০১৮ মেইন পিলারের দৌলতপুর সীমান্ত পথে অবৈধভাবে ভারতে পাচারের সময় ঘাগুটিয়া বিজিবি ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তিন নাইজেরিয়ান নাগরিককে আটক করে। 

আটককৃতরা হলেন- চিনিমী ওচীবুকু নোয়াজোর (৩০), পাসর্পোট নম্বর- এ১০০৮২৫৮০, চীবুকীওলিভার নোশু (৩০), পাসর্পোট নম্বর- এ১০০৮২৮৪৮ ও ইলভিস সিজীকি ইভীজি (২৫), পাসর্পোট নম্বর- এ১০২১৬৭৪৫। 

ঘাগুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোশাররফ ও তার স্ত্রী রত্না এদেরকে পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদের বাড়িতে ‘মানব পাচারকারীর বাড়ি’ লিখে চিহ্নিত করে দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃপক্ষ। 

২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কবির সাংবাদিকদের বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়ে সীমান্ত অপরাধীরা যেন সুস্থ ও সামাজিক জীবনে ফিরে আসে তাই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে মানবপাচারকারী, মাদক চোরাকারবারী এবং মাদক বিক্রেতাদের তালিকা করা হয়েছে। এসব তালিকা ধরে তাদের বাড়িতে ব্যানার ও দেয়াল লিখন দিয়ে চিহ্নিত করা হবে।

এনএস/