ভারতের জনক মোদি!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:২৭ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বুধবার
ভারতের জাতির জনক কে? আপনার উত্তর যদি হয় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী বা মহাত্মা গান্ধী, তাহলে আরেকটু আপডেটেড হতেই হবে আপনাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের হাউস্টনের বিশাল অনুষ্ঠানে ভারতীয়রা যেভাবে তাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তার প্রমাণ দিলেন তাতে অভিভূত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মোদিকে ভারতের জনক বলে আখ্যায়িত করলেন ট্রাম্প। খবর এনডিটিভি’র।
মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ৬৯ বছরের এই ভারতীয় নেতাই হলেন ‘ফাদার অব ইন্ডিয়া’! এখানেই শেষ নয়, যুক্তরাষ্ট্রে মোদির জনপ্রিয়তা দেখে মার্কিন রক অ্যান্ড রোল কিংবদন্তি এলভিস প্রেসলির সঙ্গেও তার তুলনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
নিউইয়র্কে দুই নেতার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মনে আছে আগের ভারতবর্ষ...খুবই ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ছিল। প্রচুর মতবিরোধ ছিল, প্রচুর লড়াই ছিল। কিন্তু মোদি সবাইকে একত্রিত করেছেন। একজন বাবার মতো তিনি সবাইকে বেঁধে রেখেছেন। হয়ত তিনিই ভারতের পিতা। আমাদের উচিত তাকে ভারতের জনক বলে ডাকা... আমি মনে করি তিনি ভারতে দুর্দান্ত কাজ করছেন।
ট্রাম্প আরও বলেন, এই অনুষ্ঠানটিতে যা প্রমাণিত তা হলো আমি ভারত দেশটিকে কতটা পছন্দ করি এবং আপনাদের প্রধানমন্ত্রীকেও আমি কতটা পছন্দ করি। ওই ঘরে অদ্ভুত রকমের উত্তেজনা ছিল, দুর্দান্ত চেতনা ছিল। আমার ডানদিকে এই ভদ্রলোককে সবাই এতো ভালবাসে! মানুষজন পাগলের মতো তাদের ভালোবাসা জানিয়েছেন। মোদি যেন এলভিস প্রেসলির আমেরিকান সংস্করণ! গ্র্যান্ড ‘হাওডি, মোদি!’
গত রোববার ওই অনুষ্ঠানে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ অংশ নেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প এই অনুষ্ঠানে মোদির সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন। সেখানে টেক্সাসের ভারতীয় সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন তিনি। পরের বছর নির্বাচনে পুনরায় ট্রাম্প নির্বাচিত হবেন কি না সেই সিদ্ধান্ত নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন টেক্সাসের জনগণ!
মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেন, আমার ব্যক্তিগত রসায়ন (প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে) দিনদিন ভালো হচ্ছে। মোদির প্রতি আমার শ্রদ্ধা, প্রশংসা রয়েছে এবং আমি তাকে সত্যিই ভীষণ পছন্দ করি। তিনি একজন দুর্দান্ত ভদ্রলোক এবং মহান নেতা।
মোদিও জনসমাগমে ট্রাম্পকে উদার প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন। বলেন, সিইও থেকে কমান্ডার-ইন-চিফ, বোর্ডরুম থেকে ওভাল অফিস, স্টুডিও থেকে শুরু করে বৈশ্বিক পর্যায়ে, রাজনীতি থেকে শুরু করে অর্থনীতি ও সুরক্ষা সর্বত্র ট্রাম্প গভীর ও স্থায়ী প্রভাব ফেলেছেন।
মঙ্গলবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই নেতা বাণিজ্য ও সন্ত্রাস নিয়ে আলোচনা করেন। নয়াদিল্লির আপত্তি সত্ত্বেও চতুর্থবারের মতো ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীরের বিরোধ নিয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাবের পুনরাবৃত্তির কয়েক ঘণ্টা পরেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসলামাবাদকে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে আরও বেশি পদক্ষেপের জন্য চাপও দেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, পাকিস্তানকে দেওয়া বার্তাটি আমার দেওয়ার নয়, প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্যই এই বার্তা। আর তিনি এই বার্তাটি একেবারে স্পষ্ট এবং জোর গলায় দিয়েছেন। এবং আমি নিশ্চিত যে তিনি এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম।