ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

খালেদকে আরও ২০ দিনের রিমান্ডে চায় র‍্যাব

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:২১ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৩:২৪ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় যুবলীগ নেতা খালেদ হোসেন ভূঁইয়াকে ১০ দিন করে আরও ২০ দিনের রিমান্ডে চায় র‍্যাব। ঢাকা মহানগর হাকিম দিদারুল আলমের আদালতে বিকেল ৩টায় এ বিষয়ে শুনানি হবে। গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কমকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক রকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছন।

এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় চারদিন ও মাদক মামলায় তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। উল্লেখ্য, রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়াংমেনস ক্লাবের অবৈধ ক্যাসিনো মালিক যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। 

অস্ত্র,মাদকদ্রব্য ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশান থানায় ৩টি ও বিকালে মতিঝিল থানায় মাদক আইনে আরও একটি মামলা করা হয়।

এর মধ্যে র‌্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তিনটি মামলা দায়ের করেন। আর মতিঝিলি থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন র‌্যাবের ওয়ারেন্ট অফিসার চাইলা প্রু মার্মা।

র‍্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম বলেন, আটক খালেদকে র‍্যাব-৩ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়। তিনি বলেন, ক্যাসিনো ও মাদক ব্যবসা নিয়ে আটক খালেদকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে।

গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অস্ত্রসহ আটক করে র্যাব। আটকের পর তাকে র‍্যাব-৩ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

গ্রেফতারের সময় খালেদের বাসা থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, লকার থেকে ১০০০, ৫০০ ও ৫০ টাকার বেশ কয়েকটি বান্ডিল উদ্ধার করা হয়। সেগুলো গণনার পর ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া ডলারেরও বান্ডিল পাওয়া যায়। টাকায় তা ৫-৬ লাখ টাকা হবে বলে জানায় র‍্যাব। এছাড়া তার কাছ থেকে মোট ৩টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যার একটি লাইসেন্সবিহীন, অপর দুটি লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ করে রাখা হয়েছিল।

দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে মতিঝিলের ক্যাসিনো পরিচালনার বিষয়টি মতিঝিল থানা পুলিশ, মতিঝিল জোন, পুলিশ সদর দফতর ও ডিএমপি সদর দফতরের কর্মকর্তারা জানতেন বলে দাবি করেন খালেদ। তবে পুলিশের সঙ্গে ক্যাসিনো পরিচালনার জন্য কোনো আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলেননি তিনি।

এসি/টিআর