ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

কুলিতে মৃত্যুমুখ থেকে ফেরা অমিতাভের ভিডিও ভাইরাল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৪১ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র মনমোহন দেশাইয়ের কুলি’র সেটে ১৯৮২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হন অমিতাভ বচ্চন। সেদিন প্রথমবার তার বাবা হরিবংশ রাই বচ্চনের চোখে জল দেখেছিলেন বিগ বি।

৩৭ বছর পরে হাসপাতালে দুই মাস কাটিয়ে বাড়ি ফেরার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির সৌজন্য বিগ বি'র এক অনুরাগীর।

ভিডিওতে, চিকিৎসার ধকল স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে শাহেনশার চোখে মুখে। দেখা যাচ্ছে, অমিতাভ বচ্চন একটি অ্যাম্বাসাডর থেকে নামছেন এবং তাঁর বাবা হরিবংশ রাই বচ্চনকে প্রণাম করতে যাচ্ছেন। মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা সন্তানকে আলিঙ্গনে বুকে টানতে দেখা যাচ্ছে হরিবংশ রাই বচ্চনকে।

 

অমিতাভ বচ্চন বাড়ি ফিরে একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও বিবৃতি প্রকাশ করেছিলেন, যেখানে তাকে তার ভক্তদের ধন্যবাদ জানাতে শোনা যায়: “আজ ২৪ সেপ্টেম্বর, আমি আহত হওয়ার তারিখের ঠিক দু'মাস অতিবাহিত। সেন্ট ফিলোমেনা হাসপাতাল আর বিশেষত বোম্বের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের চিকিত্সক এবং নার্সদের প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ আমি এখন আপনাদের সামনে রয়েছি। আমি আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা আমার জন্য জীবনের প্রার্থনা করেছিলেন, তা মন্দিরে হোক, মসজিদে বা গির্জায়।”

“আমি আপনাদের অনেককেই চিনি না। তবুও আপনারা আমার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন, আমি এর জন্য কৃতজ্ঞ। আমি এখন যা করতে পারি তা হ'ল চেষ্টা করে যাওয়া এবং আপনাদের আশা অনুযায়ী উত্তীর্ণ হওয়া। আমি চেষ্টা করব, আমি খুব চেষ্টা করব,” লিখেছিলেন বিগ বি।

সহ-অভিনেতা পুনীতে ইশারের সঙ্গে অমিতাভ বচ্চন কুলির শ্যুটিং করছিলেন বেঙ্গালুরুতে। অ্যাকশন সিকোয়েন্স চলাকালীন ঠিকভাবে নামতে না পারার ফলে একটি টেবিলের কিনারায় ধাক্কা লেগে ভয়ানকভাবে আহত হন বিগ বি! শরীরের ভিতরের প্লীহাটি ফেটে যায় এবং তাকে অচেতন অবস্থায় সেন্ট ফিলোমেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পরই তাকে মুম্বাইয়ে সরাসরি ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। 

গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বিগ বি! বেঁচে থাকার কোন আশাই ছিল না অমিতাভ বচ্চনের। তাঁর সুস্থতার জন্য সারা দেশ জুড়ে ভক্তরা প্রার্থনা করেন। তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রী জয়া বচ্চন স্বামীর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করে প্রতিদিন ব্রিচ ক্যান্ডি থেকে সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে খালি পায়ে হেঁটে যেতেন।

বচ্চন পরিবার ২ অগস্টকে অমিতাভ বচ্চনের দ্বিতীয় জন্মদিন হিসাবে উদযাপন করেছিলেন। সেই বিষয়ে বিগ বি একবার তাঁর ব্লগে লিখেছিলেন: “১৯৮৮ সালের ২ আগস্ট ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে অন্ধকারের ছায়াগুলি বড় হয়ে উঠল, জীবনযুদ্ধে লড়ছিলাম। এই কয়েকদিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচার হয়েছিল। জয়াকে আইসিইউতে তার স্বামীর শেষ ঝলক দেখতে ডেকে আনা হয়েছিল, আমি মারা যেতে বসার আগে ডাঃ উদওয়াদিয়া শেষ চেষ্টা করে যান, ফায়ালের পরে ফায়াল পাম্প করেন। কর্টিসোন ইনজেকশনগুলি ততক্ষণ পর্যন্ত পুশ করে যান, যতক্ষণ না আমার পায়ের আঙ্গুলটি নড়ে এবং জয়া প্রথম তা লক্ষ্য করে এবং বলে ‘দেখুন, উনি বেঁচে আছেন।”

পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পরে অমিতাভ বচ্চন কুলির সেটে ফের যোগ দেন। ১৯৮৩ সালের ১৪ নভেম্বর মুক্তি পাওয়ার পরে বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার হয় এই সিনেমা।

এসি