ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে বিনিয়োগের আহ্বান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৫ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে এগিয়ে আসতে তথা বিনিয়োগে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কাজে প্রযুক্তি ও আর্থিক সংস্থান চিহ্নিত করতে সবাই সহায়তা করবেন বলেও বিশ্বাস পোষণ করেন তিনি।

শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘টেকসই স্বার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা: মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রতিবন্ধিতাসহ সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা’ শীর্ষক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা আমাদের উন্নয়নযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ। অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে এটি অত্যন্ত জরুরি। সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের অর্থনৈতিক সংকটে না ফেলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সহায়তা করে। আর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাও জনগণকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে।

তিনি বলেন, বিশ্বে বিপুল সংখ্যক মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ও প্রতিবন্ধিতায় ভুগলেও সার্বজনীন স্বাস্থ্য নিশ্চিতের ক্ষেত্রে বিষয় দুটি অবহেলিত। অথচ অর্জনযোগ্য সর্বোচ্চ মানের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া প্রত্যেকের অধিকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার এসডিজির ‘টার্গেট ৩.৪’ মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশ্বব্যাপী আরেকটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে প্রতিবন্ধিতা। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যনীতি ও কর্মসূচিতে এ দু’টি বিষয়কেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।  

তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৯৯৮ সালে আমাদের সরকারের প্রথম মেয়াদেই ‘কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক’ চালু করা হয়। এর আওতায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে গ্রামাঞ্চলে ১৪শ’র বেশি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। 

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এ প্রকল্পে ক্লিনিক স্থাপনে স্থানীয়রা জমি দিয়েছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে ভবন নির্মাণ, দক্ষ জনশক্তি সরবরাহ, ওষুধ ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সরঞ্জাম দেয়া হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো এখন সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবায় রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।’

প্রতিবন্ধী ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালে আমরা প্রতিবন্ধী অধিকার ও সুরক্ষা আইন সংশোধন করেছি এবং ২০১৮ সালে মানসিক স্বাস্থ্য আইন করি। এখন আমরা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত একটি জাতীয় কৌশলগত পরিকল্পনার উন্নয়ন করছি; যাতে বিভিন্ন অংশীজনসহ সামগ্রিকভিত্তিতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।

এ সময় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও নেপালের নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রীসহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন- বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিষয়ক উপদেষ্টা, বাংলাদেশে জাতীয় অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল প্রমুখ। 

এনএস/