ঢাকা, শুক্রবার   ১১ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৫ ১৪৩১

দেখুন এই ভিআইপির স্বশস্ত্র দেহরক্ষী!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৩ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শনিবার

নাম তার রাজা। চালচলনও রাজকীয়। দেহরক্ষী দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে সব সময়। হাঁটেও রাজপথ দিয়ে। এ কে ফর্টিসেভেন-ধারী দেহরক্ষী দিয়ে তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হয় রাষ্ট্রীয়ভাবে। এই রাজা ভিআইপি হবে না তো কে হবে!

এই ভিআইপি রাজা কিন্তু প্রায় সাড়ে ১০ ফুট লম্বা। থাকে শ্রীলঙ্কায়। পুরো নাম নাদুগামুওয়া রাজা। তার আবার বড় বড় দুটি সাদা দাঁত আছে। আশ্চর্য হচ্ছেন! শ্রীলঙ্কার পোষা হাতির মধ্যে রাজাই লম্বা। যার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রশাসন। 

শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় মন্দিরগুলোর পুরোহিতদের প্রথম পছন্দ বিশাল এই দাঁতাল হাতিটি। তাই প্রতিদিনই কোন না কোনও মন্দিরে ‘ডিউটি’-তে যেতে হয় রাজাকে। শুধু তাই নয়, প্রতি বছর ‘এসালা’ বৌদ্ধ অনুষ্ঠানের সময়ে বুদ্ধের দেহাবশেষ বহনের গুরুদায়িত্ব থাকে রাজার কাঁধে। সেই সময়ে প্রায় ৯০ কিলোমিটার হেঁটে কান্দির বৌদ্ধ মন্দিরে পৌঁছে যায় রাজা। 

কাজকর্মের বাইরে মাহুত হর্ষ ধর্মবিজয়ার সঙ্গেও বেশ খুনসুটি করতে ব্যস্ত থাকে বিশাল আকারের এই হাতিটি। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, হাতির জন্য কেন এত নিরাপত্তা বলয়? এ বিষয়ে মাহুত হর্ষ বলেন, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে এক মোটরসাইকেল আরোহী রাজাকে ধাক্কা দিতে যাচ্ছিলেন। সেবার অল্পের জন্য বেঁচে যায় রাজা।

আর এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে চার-পাঁচ জনের একটি সশস্ত্র দেহরক্ষী টিম গঠন করে রাজাকে নিরাপত্তা দেওয়া শুরু হয়। সেই সময় থেকে যখনই রাজা রাস্তায় বের হয়, তাকে ঘিরে থাকেন চার-পাঁচজন নিরাপত্তা রক্ষী। 

শ্রীলঙ্কায় মন্দির ও বিত্তশালীদের মধ্যে হাতি পোষার রীতি অনেক আগে থেকেই। তবে পরিবেশবাদীদের দাবি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যথাযথ যত্ন নেওয়া হয় না এসব পোষ্য হাতিদের। কিন্তু ভিআইপি এই রাজার ব্যাপার-স্যাপারই যেন রাজকীয়!

এএইচ/