ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

রামু ট্র্যাজেডির ৮ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৮ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার

আজ ২৯ সেপ্টেম্বর ‘রামু ট্র্যাজেডি দিবস’। ২০১২ সালের এ দিনে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পবিত্র কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে এ দিনে কক্সবাজারের রামুর ১২টি বৌদ্ধ বিহার, ৩০টি বসতঘর এবং পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর উখিয়া ও টেকনাফে ৭টি বৌদ্ধ বিহার ও ১১টি বসতঘর পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

পুড়ে যায় এসব মন্দিরে থাকা হাজার বছরের পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন। বিভীষিকাময় সেই রাতে আগুনের লেলিহান শিখা থেকে প্রাণে বাঁচতে দিগবিদিক ছোটাছুটি করেছিলেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের হাজারো অসহায় নারী-পুরুষ। সে ট্র্যাজেডিরই আজ ৮ বছর পূর্ণ হলো। সেদিনের এ নারকীয় ঘটনাটির জন্য আজও বাংলাদেশের মাটিকে কলঙ্ক বহন করতে হচ্ছে। ঘটনার ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও ধরা পরেনি মূল অপরাধীরা। এতে শঙ্কায় আছেন বৌধ সম্প্রদায়ের মানুষ। তবে খুব কম সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও পুড়ে যাওয়া মন্দির, বিহার এবং বসতবাড়ী আধুনিক নকশা ও শৈলীতে দৃষ্টিনন্দন করে সংস্কার আর পুননির্মাণ করে দেওয়া হয়।

জানা যায়, এই দুই দিনে রামু ও উখিয়ার ১৯টি বৌদ্ধ বিহার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৮টি মামলা করেন। ঘটনার পর ৯৯৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। দেশে-বিদেশে আলোচিত এই ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের একজনও বর্তমানে জেল হাজতে নেই। সবাই এখন জামিনে আছেন। এদের মধ্যে অনেকে বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন। এ সম্প্রদায়ের নেতা অলক বড়ুয়া বলেন, ‘সমস্যা না হলেও আমরা একটু শঙ্কিত। কারণ মূল আসামি যারা তারা এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে। সেজন্য আমরা শঙ্কিত।’

এদিকে রামুর ঘটনার ৮ বছর উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ভোর ৫ টায় বুদ্ধপূজা, সকাল ৭ টায় জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, ৯টায় অষ্ট পরিষ্কার দান, দুপুরে অতিথি ভোজন, দুপুর ২ টায় শান্তি শোভাযাত্রা, সাড়ে ৩ টায় স্মরণসভা, সন্ধ্যা ৬ টায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও বিশ্বশান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনা। বৌদ্ধ মন্দিরে দেয়া আগুন নিভে গেছে। তবে সম্প্রদায়ের মনে যে ব্যাথার দাগ পড়েছে তা মুছবে কি কখনও।

এমএস/