ফুলের রাজ্যে এখন নন্দিনী
শেকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৪:০৩ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার
ফুলের রাজ্যে এক নতুন ফুলের আগমনে মুখরিত হলো শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উদ্যানতত্ত্ব খামার। ৪৫ রকমের রঙ-বেরঙের অধিকারী ফুলটির নাম নন্দিনী। ফুলটি আমদানি করা হলেও নন্দিনী এখন চাষ হবে বাংলাদেশের আবহাওয়ায়।
নন্দিনী ফুল নিয়ে গবেষণায় সফলতা পেয়েছেন শেকৃবির গর্ব উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড.এফ এম জামাল উদ্দিন।
বর্ণবৈচিত্র্যের কারণে ফুলটি অল্প সময়ের মধ্যে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের ফুলের বাজারে জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত আটটি রঙের নন্দিনী ফোটানো সম্ভব হয়েছে।
নন্দিনী ফুলটি বুনো বৈশিষ্ট্যের। ঝড়, বৃষ্টি ও প্রচণ্ড গরম বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগেও এটি অক্ষত থাকে। প্রতিটি ফুল শক্ত ডাঁটা বা বৃন্তের ওপর থাকে বলে কখনেও বেঁকে যায় না বা নুয়ে পড়ে না। একটানা ১৫ দিন পর্যন্ত ফুলটি অবিকল থাকে বলে দাম একটু বেশি। প্রতি মৌসুমে একটি গাছ থেকে অন্তত ১২০টি ফুল পাওয়া যেতে পারে।
ড. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘জাপান এবং বাংলাদেশে ফোটা নন্দিনীর মধ্যে গুণগত মিল রয়েছে। পার্থক্য কেবল বীজের অঙ্কুরোদ্গমে। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এ ফুলের সবচেয়ে ভালো মানের বীজ তৈরি হচ্ছে, যার অঙ্কুরোদ্গম হার ৮০ ভাগের বেশি। আর কোনো দেশে এত ভালো মানের বীজ উৎপাদন করা এখনো সম্ভব হয়নি।’
তিনি বলেন, বেলে ও দোআঁশ মাটিতে নন্দিনীর বীজ ভালো হয়। লবণ-সহনশীল ফুলটি বাংলাদেশের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে চাষ করার সুযোগ রয়েছে সবচেয়ে বেশি।
ড. জামাল উদ্দিন মনে করেন, বাংলাদেশে নন্দিনী উৎপাদনের সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল। ভারত, থাইল্যান্ড, চীন, নেপাল, ভুটান ও পাকিস্তানসহ আশপাশের দেশগুলোতে ফুলটির চাহিদা পূরণে বাংলাদেশের ভূমিকা থাকবে অতুলনীয়।
আই/এনএস