ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

অবশেষে ক্রিকেট গড়ালো করাচীতে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৫৫ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৪:৫৭ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার

বহু চেষ্টা-তদবিরের পর অবশেষে ক্রিকেট গড়ালো পাকিস্তানের করাচীতে। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায়  আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছে তারা। বৃষ্টিতে প্রথম ওয়ানডে ধুয়ে গেলেও সোমবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করছে স্বাগতিকরা।

এ প্রতিবেদল লেখা পর্যন্ত ১৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৯ রান তুলেছে পাকিস্তান। ফখর জামান ৪০ এবং ইমাম-উল-হক ২৮ রানে ক্রিজে আছেন।  

পাকিস্তান একাদশ
ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, বাবর আজম, হারিস সোহেল, ইফতিখার আহমেদ, সরফরাজ আহমেদ (ক্যাপ্টেন,  ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, ওহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ আমির ও উসমান শিনওয়ারী।

শ্রীলঙ্কা একাদশ 
লাহিরু থিরিমান্নে (ক্যাপ্টেন), সাদীরা সামারাবিক্রমা, দানুশকা গুণাথিলাকা, অবিশ্কা ফার্নান্দো, ওশাদা ফার্নান্দো, শেহান জয়সুরিয়া, দাশুন শানাকা, ইসুর উদানা, ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা, নুয়ান প্রদীপ ও লাহিরু কুমারা।

এদিকে পাকিস্তানে একেকটি সিরিজ মানেই যেন প্রতিবার ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন।’ দর্শকদের কাছে টিকিটের চাহিদা থাকবে আকাশচুম্বী- এমনই তো হওয়ার কথা ছিল। তবে হচ্ছে যে ঠিক উল্টোটা!

জনপ্রিয় ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- বৃষ্টির কারণে ভেসে যাওয়া প্রথম ওয়ানডের মাত্র ২০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়েছিল!

সিরিজের বাকি দুই ম্যাচের টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রেও এই ছাপ রয়ে গেছে। অর্থাৎ, এখনো আগ্রহ বাড়েনি দর্শকদের। ওয়ানডে সিরিজের ভেন্যু করাচিকে বলা হয়ে থাকে পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি ক্রিকেট-উন্মাদ শহর। কিন্তু করাচির দর্শকদের হুট করে এই ‘বিমুখতা’র কারণ খুঁজতে উন্মুখ পাকিস্তানের ক্রিকেট অঙ্গন।

অবশ্য এমন অবস্থার অন্যতম একটি কারণ হতে পারে কম প্রচার-প্রচারণা। সিরিজ শুরুর কদিন আগেও শঙ্কা ছিল- শ্রীলঙ্কা পাকিস্তান সফরে আসবে তো? দুই দেশের সরকারও এ নিয়ে আলোচনায় বসেছিল। শেষপর্যন্ত সিরিজ মাঠে গড়ালেও পিসিবি যথেষ্ট প্রচারণার সুযোগ বা সময় পায়নি- এমন ধারণা অনেকের।

আবার কেউ কেউ বলছেন- করাচির ‘আধুনিক ক্রিকেটের দর্শক’রা এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেরই পূজারি। তাছাড়া বৃষ্টির শঙ্কা ও প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্তর কারণে ওয়ানডে সিরিজে দর্শকদের আগ্রহ কমে গেল কি না, এমনও ভাবা হচ্ছে!

এনএস/