ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

ফের ব্যর্থ আশরাফুল নাসির রাজ্জাক, সফল তামিম 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৭ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার

অচিরেই শুরু হচ্ছে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)। আগামী ১০ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া এই ঘরোয়া লিগকে সামনে রেখে ফিটনেসের মানদণ্ড বিপ টেস্ট নিয়েছে বিসিবি। গতবার যেখানে ৯ পয়েন্ট পেয়েও অংশ নিয়েছিলেন বহু ক্রিকেটার। কিন্তু এবারের পরিস্থিতিটা একটু ভিন্ন।

‘বিপ টেস্টে’ ১১ পয়েন্ট না পেলে জাতীয় লিগে খেলা যাবে না, ক্রিকেটারদের এমন সতর্কতা অনেক আগেই দিয়ে রেখেছে বিসিবি। বিসিবির এই সতর্কতা নিয়ে নানান গুঞ্জণের মধ্যেই মঙ্গলবার হয়ে গেল বিপ টেস্ট। যে পরীক্ষায় সেরা হয়েছেন তামিম ইকবাল। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে নেয়া এই বিপ টেস্টে সর্বোচ্চ ১২.১ পয়েন্ট পেয়েছেন দেশসেরা ওপেনার।

দীর্ঘদিন ছুটিতে থাকা তামিম সফল হলেও বিসিবির বেধে দেয়া স্কোর করতে পারেননি মোহাম্মদ আশরাফুল, নাসির হোসেন, আব্দুর রাজ্জাকের মতো তারকা ক্রিকেটাররা। ফিটনেসে যথাক্রমে ৯.৭, ৯.২ এবং ৯.৬ করে পেয়ছেন এই তিন ক্রিকেটার।

গত জুলাইয়ে তামিমের নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। অবশ্য সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট এবং ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলেননি এই ওপেনার। তবে মাঠের বাইরে থাকলেও বসে ছিলেন না তামিম। টানা দেড় মাস কাটিয়েছেন থাইল্যান্ডে। আর এ সময়ে জিমে কঠোর পরিশ্রম করে ওজন কমিয়েছেন প্রায় সাড়ে পাঁচ কেজি! যার সুফল পেলেন বিপ টেস্টেই।

তামিম ছাড়াও বিপ টেস্টে পাস করেছেন জুবায়ের হোসেন লিখন (১১.২ পয়েন্ট), শাহরিয়ার নাফীস (১১.২), আবু হায়দার রনি (১১.১), মার্শাল আইয়ুব (১১.৪), শামসুর রহমান (১১.৩), আল আমিন জুনিয়র (১১.৩), মেহেদি মারুফ (১১.৮), শুভাগত হোম (১১) এবং নাজমুল ইসলাম অপু (১১.১)।

এদিকে বিপ টেস্টে উতরে যাওয়ার ব্যাপারে নিজের আত্মবিশ্বাসের কথা জানিয়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। কিন্তু এদিন টেস্টে এ্যাশ পেলেন ৯.৭ পয়েন্ট। 

এই তিন তারকাসহ ব্যর্থ হওয়া ক্রিকেটাররা অবশ্য আবারও পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাবেন, আগামী ৮ অক্টোবর। আর এই অল্প সময়ের মধ্যে এরা ফিটনেস এতোটা উন্নতি করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ। তবে জাতীয় লিগে খেলার জন্য ক্রিকেট বোর্ডের বেঁধে দেয়া ১১ পয়েন্ট অবশ্যই তুলতেই হবে তাদের।

আসলে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে কথা উঠছে অনেকদিন ধরেই। ফলে ফিটনেসের দিকে বাড়তি নজর দেয়ার চিন্তাটাই বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে বিসিবি। সেই চেষ্টা থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে এই ‘বিপ টেস্টে’র কড়াকড়ি। বোর্ডের ধারণা, ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিটনেসের ঘাটতি নিয়ে খেলে অভ্যস্ত হওয়ার কারণেই জাতীয় দলে উঠে এসে ফিটনেস বাড়াতে পারছে না ক্রিকেটাররা।

এনএস/