টিউমার আক্রান্ত শিশুকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা
জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি:
প্রকাশিত : ০৬:৫০ পিএম, ২ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার
শরিফা খাতুন। বয়স মাত্র ৮বছর। জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী, মাথার উপরের অংশের খুলি নেই। পরবর্তীতে মাথায় বিরল শিং আকৃতির টিউমারে আক্রান্ত সে।
শরিফা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী ৫নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের হরিনা মাঝের পাড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম ও ফাহিমা খাতুনের একমাত্র কন্যা। তার পিতা আশরাফুল পেশায় একজন দিন মজুর ও ভ্যানচালক।
শরিফার পরিবার সূত্রে জানা গেছে- ২০১১ সালের জুন মাসের ৩০ তারিখ আশরাফুল ইসলাম ও ফাহিমা খাতুনের কোল আলো করে জন্ম নেয় শরিফা। জন্ম থেকেই মাথার উপরের অংশে অস্বাভাবিক ছিলো তার। সেইসাথে মাথার পিছনের দুটো লাল দাগ লক্ষ্য করে তার পরিবার। পরবর্তীতে সেই লাল দাগ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে পেতে টিউমার সাদৃশ্য রূপ ধারন করে।
পরিবারিক অসচ্ছলতা সত্বেও মেয়ের চিকিৎসা অব্যাহত রাখেন পিতা-মাতা, স্বজনরা। প্রথমে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তারপর সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল পরবর্তীতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজেও চিকিৎসা চলে তার। তেমন উন্নতি না হওয়ায় খুলনা খ্রিস্টান মিশন, শিরোমণি চক্ষু হাসপাতাল, যশোর কুইন্স হাসপাতাল, যশোরের ইবনে সিনা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েও তার শারীরীক উন্নতি ক্ষীনপ্রায়।
বর্তমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন শরিফার গরিব পিতা-মাতা সর্বশান্ত প্রায়। আর্থিক অনাটনেও মেয়ের চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে মরিয়া পিতা-মাতা অবশেষে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে শরিফার পিতা ও মাতা জানিয়েছেন- এমন বিরল আকৃতির টিউমার অপারেশন করতে প্রায় ৫লক্ষ টাকার প্রয়োজন। যেটা শরিফার পরিবারের সামর্থ্যের বাইরে। দ্রুত অপারেশন করাতে না পারলে জীবন প্রদীপ ক্ষীন হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। তারা আরো জানান-টাকার অভাবে ঢাকায় অবস্থান করে মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছি না।
ডাক্তাররা যখন যেতে বলেন তখন বাড়ি থেকেই ঢাকায় যাতায়াত করে থাকি। মেয়ের চিকিৎসা সম্পন্ন করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এলাকার বিত্তশালী এবং প্রশাসনের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের প্রতি সহযোগিতা কামনা করেছেন অসহায় পরিবারটি। মেয়েটির অসহায় পিতার সাথে যোগাযোগ করতে তার মোবাইল ফোন নং: ০১৭৬৫-০১১৫৯৪।
আরকে//