ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বনানীর নিউ ড্রাগন রেস্টুরেন্ট হতে ক্যাসিনো সামগ্রী উদ্ধার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৮ পিএম, ২ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার

বনানীর নিউ ড্রাগন চাইনিজ রেস্টুরেন্ট হতে ক্যাসিনো সামগ্রী উদ্ধার করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। গোপন সংবাদের ভিত্তিতের ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি গোয়েন্দা দল আজ এ ক্যাসিনো সরঞ্জাম উদ্ধার করে।

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর গোপন সংবাদে জানতে পারে, ঢাকার বনানীর নিউ ড্রাগন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে হংকং ও ম্যাকাও এর ক্যাসিনোর বিখ্যাত গ্যাম্বলিং মেশিন- “মাহাজং” ব্যবহৃত হচ্ছে। 

এরূপ সংবাদের ভিত্তিতে আজ দুপুর ১টায় কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ নেয়াজুর রহমান ও শামীমা আক্তার এর নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি গোয়েন্দা দল বনানীর এ- ব্লকের ১৮ নং সড়কের ২৩ নং বাড়ির দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত নিউ ড্রাগন নামক চাইনিজ রেস্টুরেন্ট হতে একটি ক্যাসিনো খেলার ইলেকট্রিক মাহাজং মেশিন উদ্ধার করা হয়। 

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আমদানিকারক নিনাদ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল চায়না হতে ২০১৮ সনের জুলাই মাসে ২০টি কার্টুনে ৭ (সাত) সেট ক্যাসিনো খেলার  মাহাজং মেশিন আমদানি করেন। এ দপ্তরের অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, আমদানিকৃত পণ্যসমূহ তিনি বিভিন্ন চাইনিজ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট  বিক্রয় করেন। ওয়েবসাইট হতে জানা যায়, ১৯৪৫ সালে চায়নাতে  কমিউনিষ্ট বিপ্লবের উত্থানকালে মাহাজং খেলায় গ্যম্বলিং আসক্তির জন্য চায়নাতে মাহাজংকে নিষিদ্ধ করা হয়। 

উল্লেখ্য, বর্তমানে ম্যাকাও ও হংকং এর ক্যাসিনোতে মাহাজং গ্যাম্বলিং হিসাবে ব্যবহৃত হয়। নিউ ড্রাগন চাইনিজ রেস্টুরেন্ট হতে উদ্ধারকৃত গ্যম্বলিং মেশিনটি একটি ইলেক্ট্রিক মাহাজং মেশিন; যা গ্যম্বলিং এ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। 

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, নিউ ড্রাগন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন চাইনিজ নাগরিকের আনাগোনা ছিল। যারা এই চাইনিজ গ্যম্বলিং এ মত্ত ছিল। আলোচ্য পণ্যচালান আমদানিতে আন্ডার ইনভয়েসিং করে বিপুল পরিমান শুল্ক ফাঁকি দেয়া হয়েছে। আমদানিকারক ৭ (সাত) টি মাহাজং মেশিনের মূল্য সর্বমোট ৪৭ হাজার ৮১৫ টাকা ঘোষণা দিয়ে পণ্যচালান খালাস করেছেন কিন্তু এ দপ্তর কর্তৃক অনুসন্ধানে দেখা যায় , এ ধরনের প্রতিটি ইলেক্ট্রিক মেশিনের মূল্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে সাতটি মেশিনের মূল্য আনুমানিক সর্বমোট ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। 

সেই হিসাবে আলোচ্য পণ্যের আমদানি পর্যায়ে প্রযোজ্য শুল্ক করাদির পরিমান দাঁড়ায় ১০ লাখ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু আমদানিকারক আমদানি পর্যায়ে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ৯ লাখ ৯৬ হাজার ২৮৫ টাকা শুল্ককর ফাঁকি দিয়েছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। 

আলোচ্য আমদানিকারকের আমদানিকৃত অপর ক্যাসিনো মাহাজং মেশিনগুলোর অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে অতিসত্ত্বর ক্যাসিনো মেশিনগুলো উদ্ধার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়াও, উদ্ধারকৃত পণ্যচালানের শুল্ক ফাঁকির বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। 

আরকে//