ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

বিসিসিআই’র উপদেষ্টা কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন সবাই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২২ এএম, ৩ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (বিসিসিআই) এথিক্স অফিসার ডিকে জৈনের নোটিস পাওয়ার পরেই বোর্ডের ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি বলে আর কিছুই রইল না। একে একে পদত্যাগ করলেন তিন সদস্যই। শান্তা রঙ্গস্বামী, কপিল দেবের পর বুধবারই পদত্যাগ করলেন অংশুমান গায়কোয়াডও। খবর জিনিউজ’র।

গত জুলাই মাসে ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেছিল বিসিসিআই। ভারতের পুরুষ এবং নারী দলের কোচ বাছাইয়ের উদ্দেশ্যে এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তারা সেই কাজ করেছেন। এরপর বিসিসিআইয়ের এথিক্স অফিসার ডিকে জৈন জানান, কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটিতে রয়েছে স্বার্থের সংঘাত।

সিএসির তিন সদস্য- কপিল দেব, অংশুমান গায়কোয়াড এবং শান্তা রঙ্গস্বামীর বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে। তাদের কাছে লিখিত নোটিসও পাঠানো হয়েছে। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে সিএসি-র সদস্যদের। জানতে চাওয়া হয়েছিল বোর্ডের পদাধিকারী হওয়া স্বত্ত্বেও তারা কী করে একের বেশি পদে রয়েছেন। এই নোটিস পাওয়ার পরেই পদত্যাগ করেন শান্তা রঙ্গস্বামী। দায়িত্ব ছাড়েন কপিল দেবও।

সর্বশেষ সদস্য হিসেবে এবার বোর্ডের ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিলেন অংশুমান গায়কোয়াডও। তিনি জানান, কপিল দেব এবং শান্তা রঙ্গস্বামী পদত্যাগ করার পর তার থাকার কোনও মানে হয় না। তাই বোর্ড সিইও রাহুল জোহরিকে তিনিও চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন। 

এর আগের কমিটি থেকে সৌরভ গাঙ্গুলী, লক্ষ্মণ ও শচীন টেন্ডুলকার পদত্যাগ করলে অ্যাডহক ভিত্তিতে জুলাইয়ে কমিটিতে নিয়োগ পান কপিল দেবসহ আরও দুইজন। এই কমিটিই পরে নতুন করে বাছাই করে হেড কোচ রবি শাস্ত্রীকে।

কিন্তু সম্প্রতি কমিটির তিনজনের বিরুদ্ধে স্বার্থজনিত সংঘাতের অভিযোগ তুলেছেন ভারতের মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য সঞ্জীব গুপ্তা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ একই সঙ্গে অনেক ক্রিকেটীয় ভূমিকা পালন করছেন তারা। বিসিসিআইয়ের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় বলে অভিযোগটি তোলেন সঞ্জীব। বলেন, কপিল দেব একই সঙ্গে ধারাভাষ্যকার, একটি ফ্লাডলাইট কোম্পানির মালিক আবার একই সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনেরও সদস্য।