শসার বীজে বাঙ্গির ফলন (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:২৯ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:০৪ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
শেরপুরের লছমনপুরে লাল তীর কোম্পানির বারোমাসি জাতের বীজে শশা আবাদ করে কৃষকের মাথায় হাত। অভিযোগ, আবাদের ৪৫ দিনে ফলন আসার কথা থাকলেও প্রায় তিন মাসেও দেখা মিলছে না শশার। কোনো ক্ষেতে শশার বদলে ফলেছে বাঙ্গি ও ক্ষিরা। প্রতিষ্ঠানটির কেউ ক্যামেরার সামনে কথা না বললেও কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ক্ষতিপূরণ আদায়ের কথা।
জেলার সবজি ভাণ্ডার বলে খ্যাত লছমনপুর ইউনিয়নে কয়েক বছর ধরে লাল তীর কোম্পানির বারোমাসি জাতের বীজ দিয়ে শশার আবাদ করছেন চাষীরা। ফলনও হয় ভালো। কিন্তু এ বছর চিত্র ভিন্ন। গাছে গাছে ফুল আসলেও দেখা মিলছে না শশার।
কৃষকদের অভিযোগ, যেখানে দেড় মাসের মধ্যে ফলন পাওয়ার কথা সেখানে তিন মাসে মিলছে না শশা। আবার কিছু জমিতে শশার বীজ বুনলেও হয়েছে বাঙ্গি আর ক্ষিরা।
নিম্নমানের এই বীজ বুনে কৃষকদের এখন পথে বসার উপক্রম, জানালেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
এ বিষয়ে লাল তীর কোম্পানির কেউ ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে ডিলাররা জানান, বীজ নকল হওয়া অথবা আবহাওয়ার কারণেও এমনটা হতে পারে।
সরেজমিন পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে দাবি করে কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা জানান, ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভালো বীজের অভাবে সদর উপজেলায় চলতি মৌসুমে শশা চাষীদের অন্তত কোটি টাকা লোকসান গুনতে হবে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।