৭ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে জয় পেল লিভারপুল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:২৬ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
অ্যানফিল্ডে ৩-০ গোলে এগিয়ে সহজ জয়ের পথে ছিল লিভারপুল। কিন্তু দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সমতায় ফিরে সালসবুর্গ। পরে অবশ্য বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের লজ্জায় পড়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন মোহামেদ সালাহ।
বুধবার দিনগত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৪-৩ গোলে জিতেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। হার দিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু করা লিভারপুলের এটি প্রথম জয়। নিজেদের প্রথম ম্যাচে নাপোলির বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছিল গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
নিজেদের মাঠে লিভারপুলের দাপুটের শুরুটা হয় সাদিও মানের পায়ে। নবম মিনিটে ডি-বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে ফিরমিনোর পাস থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন সেনেগালিজ স্ট্রাইকার।
এরপর ম্যাচের ২৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। হেন্ডারসনের বাড়িয়ে দেওয়া বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের দিকে ছুটতে থাকা অ্যান্ড্রু রবার্টসনকে খুঁজে নেন অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ড। পোস্টের কাছে পৌঁছে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন স্কটিশ ডিফেন্ডার।
আর ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন সালাহ। মানের বাড়িয়ে দেওয়া বলে ফ্লিক করেছিলেন ফিরমিনো। কিন্তু প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক শট ফিরিয়ে দেন। ফিরতি শটে খালি পোস্টে বল জালে জড়িয়ে দেন সালাহ।
কিন্তু ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে স্বাগতিকদের একাধিপত্য রুখে দেন সালসবুর্গের স্ট্রাইকার হুয়াং হি-চ্যান। লিভারপুলের বিশ্বসেরা ডিফেন্ডার ফন ডাইককে বোকা বানিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে প্রথম জালের দেখা পান দক্ষিণ কোরিয়ান ফরোয়ার্ড।
বিরতি থেকে ফিরে ব্যবধান আরও কমিয়ে আনেন অতিথিরা। ম্যাচের ৫৬তম মিনিটে মিডফিল্ডার তাকুমি মিনামিনো আর ৬০তম মিনিটে আরেক স্ট্রাইকার এর্লিং ব্রাউটের গোলে খেলায় সমতা ফেরায় দলটি।
তবে নাটকীয়তা তখনও বাকি। ড্র অথবা হারের শঙ্কায় পড়ে যাওয়া লিভারপুলকে উদ্ধার করেন সালাহ। লিভারপুল এগিয়ে যায় সফরকারীদের ভুলে। একজন বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে পেয়ে যান ফাবিনিয়ো। তার পাস পেয়ে ফিরমিনো ফ্লিকে বল বাড়ান সালাহকে। সঙ্গে লেগে থাকা খেলোয়াড়দের পেছনে ফেলে বাকিটা সারেন মিশরের এই স্ট্রাইকার।
ম্যাচের বাকি সময় আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ দেখা গেলেও গোলের দেখা পায়নি কোনও দলই। ফলে আগের ম্যাচে হেঙ্ককে ৬-২ গোলে হারানো সালসবুর্গ পায় প্রথম হারের তেতো স্বাদ।
আর এই নিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ঘরের মাঠে টানা ১২ ম্যাচেই জয়ের দেখা পেল অলরেডরা। এর আগে ১৯৮৫ সালের এপ্রিল ও নভেম্বরে ঘরের মাঠে টানা ১৮ ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছিল তারা।