দুর্গা পূজায় টানা আট দিনের ছুটিতে বেনাপোল স্থলবন্দর
বেনাপোল প্রতিনিধি:
প্রকাশিত : ০৫:০১ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
ভারতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা আট দিনের ছুটির ফাঁদে পড়েছে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর। এসময় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। পূজার লম্বা ছুটির কারনে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাঁচামালের সংকট দেখা দিতে পারে। তবে এ ছুটিতে বেনাপোল কাস্টম হাউজ ও বন্দরে পণ্য খালাস এবং বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষনা করেছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেল থেকে বন্ধ হয়ে গেছে আমদানি-রপ্তানি। টানা আট দিন ছুটি থাকায় এ সময় পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে সব ধরনের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। আগামী শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হবে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক লতা জানান, পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দূর্গা পূজা ও বাংলাদেশে সাপ্তাহিক ছুটির কারণে টানা আট দিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও কাস্টম ও বন্দরে কাজকর্ম স্বাভাবিক থাকবে।
বেনাপোল কাস্টমস চেকপোষ্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা নাসিদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওপারে সরকারি ছুটি থাকায় বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) থেকে আগামী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে ওপারের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও সিএন্ডএফ এজেন্টরা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বন্দরে লোড-আনলোড ও কাস্টমসে কাজ চলবে। ১২ অক্টোবর সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে বলে বলে তিনি জানান।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন খান বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব ছুটিতে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্টধারীযাত্রীদের যাতায়াত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেশের অর্থনীতিতে বেনাপোল বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ পণ্য বোঝাই ট্রাক আসে ভারত থেকে। এ ছাড়াও শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাচাঁ মালামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে। ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ৯০ ভাগই আসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। মাত্র সাত দিনের এলসিতে পণ্য আনা যায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে।
বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮১ কিলোমিটার। আড়াই ঘন্টায় চলে আসা যায় চেকপোস্টে। সে কারণে আমদানিকারকরা পণ্য আমদানির জন্য বেনাপোল বন্দর ব্যবহার থাকেন। টানা আট দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় এর প্রভাব বাজারে পড়বে বলে আশংকা করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
আরকে//