ফের সাকিবের নৈপুণ্য, বার্বাডোজের জয়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:১৯ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
বিশ্বকাপের ধারবাহিকতা বজায় রেখে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (সিপিএল) চলছে সাকিব শো। যার ফলে নিয়মিত জয়ও পাচ্ছে সাকিবের দল। বুধবার বিকেলে (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ভোরে) ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে সাকিবের বোলিং নৈপূণ্যেই বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস জিতেছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ থেকেই ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত সাকিব। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বোলিংয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে চলেছেন বিশ্ব সেরা এই অলরাউন্ডার। আগের দুই ম্যাচে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে নিয়েছেন ২ উইকেট। আর এদিন এক ম্যাচেই ২ উইকেট পেলেন সাকিব এবং বেশ আটোসাটো বোলিং করেই।
ত্রিনিদাদে এদিন ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৫ রান দিয়ে সাকিব নিয়েছেন ২ উইকেট। তার দল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসও জিতেছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। তবে সাকিব-গার্নেরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৮ উইকেটে ১৩৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি দলটি। সর্বোচ্চ ৪৫ বলে ৬০ রান করেন ওপেনার লেন্ডল সিমন্স। এছাড়া মুনরো ২৩, পোলার্ড ২০ এবং রামদিনের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। বাকিরা সবাই ছিলেন এক ডিজিটেই।
ত্রিনবাগোর ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাকিবের হাতে বল তুলে দেন বার্বাডোজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান সাকিব দেন তার পঞ্চম বলেই। জিমি নিশামকে ফিরতি ক্যাচে সাজঘরের পথ দেখান টাইগার অলরাউন্ডার।
পাওয়ার প্লেতে করা দুই ওভারে সাকিব এক উইকেট নিয়ে দেন মাত্র ৮ রান। সাকিব ফের হাত ঘোরাতে আসেন পঞ্চদশ ওভারে। এসময় ত্রিনবাগোকে একাই এগিয়ে নিচ্ছিলেন ওপেনার লেন্ডল সিমন্স। সাকিবের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কাও মারেন তিনি। কিন্তু পরের বলেই ধরাশায়ী হন সিমন্স। তাকে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান সাকিব।
আর ১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন বার্বাডোজের দুই ওপেনারের। জনসন চার্লস ৪৭ বলে ৫৫ আর অ্যালেক্স হেলস ২৭ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন। যদিও তিন নাম্বারে নেমে ব্যাট হাতে তেমন সুবিধা করতে পারেননি সাকিব। ১৪ বল খেলে ১৩ রান করে আউট হন এই অলরাউন্ডার। তবুও জয় পেতে কোন রকম অসুবিধা হয়নি তার দলের। ডুমিনি (১৮) আর নার্সের (১০) ব্যাটে চড়ে সহজ জয়ই তুলে নেয় বার্বাডোজ।
আর এ জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুই নাম্বারে উঠে এলো সাকিব-হোল্ডারের বার্বাডোজ। এক নাম্বারে আছে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স। ৮ ম্যাচের সবটিতেই জিতেছে দলটি। আর দশ ম্যাচ খেলে পাঁচটিতে জিতেছে সাকিবের দল।
এনএস/