ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

কাতারে হিটস্ট্রোকে প্রাণ হারাচ্ছেন শত শত শ্রমিক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:১১ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০১৯ শুক্রবার

তীব্র তাপদাহের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশ কাতারে হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছেন শত শত বিদেশি শ্রমিক। গত কয়েক বছরে দেশটিতে বিদেশি শ্রমিক মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটন করতে গিয়ে গত ২ অক্টোবর এ তথ্য উঠে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে।

আগামী ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনকে কেন্দ্র করে কাতারের নির্মাণ খাতে চাপ বেড়েছে বেশ। স্টেডিয়াম, রাস্তা-ঘাট ও হোটেল নির্মাণের জন্য সম্প্রতি ১৯ লাখ শ্রমিক নিয়েছে কাতার। যাদের অধিকাংশই এসেছে এশিয়ার দেশ নেপাল, ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে। চলতি গ্রীষ্মেই সর্বোচ্চ ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রতিদিন টানা ১০ ঘণ্টা করে কাজ করেছেন এসব বিদেশি শ্রমিক।

গত ৮ বছরে (২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত) কাতারে মারা যাওয়া ১৩শ নেপালি শ্রমিকের মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণ করেছেন একদল আবহাওয়াবিদ ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। সম্প্রতি কার্ডিওলজি জার্নাল নামের এক সাময়িকীতে বিষয়টি প্রকাশ পায়। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, হিটস্ট্রোক বা তীব্র গরমে অসুস্থতাজনিত কারণে এসব শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গবেষকদের মতে, যে মাসগুলোতে তুলনামূলকভাবে কম গরম পড়েছে সে মাসগুলোতে ২২ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে। গ্রীষ্মে এই হার বেড়ে ৫৮ শতাংশে পৌঁছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তাদের মৃত্যু হয়।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে নরওয়ের অসলো ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. ড্যান অ্যাটার বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় এটা স্পষ্ট যে, স্বদেশে স্বাস্থ্যের ওপর ভিত্তি করে শ্রমিকদের বিদেশে পাঠানো হয় এবং তারা উপসাগরীয় অঞ্চলে সুস্থ অবস্থাতেই পৌঁছে। কিন্তু সেখানে তরুণদের হৃদরোগে আক্রান্তের হার একেবারেই কম। এরপরও কাতারে প্রতি বছর তাদের মধ্যে শত শত লোক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে।

ডা. ড্যান অ্যাটার আরও বলেন, একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমার স্পষ্ট উপসংহার এটাই যে, এই মৃত্যুগুলোর কারণ হিটস্ট্রোক। তারা যে তাপে কাজ করে তা তাদের দেহ সহ্য করতে পারেনি। তাই এ প্রাণহানী ঘটছে। 

এনএস/