ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

‘অন্তত ১০০ তরুণীকে নিয়ে গেছি সেলিমের কাছে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৩ এএম, ৫ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ১১:১৪ এএম, ৫ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার

অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতা সেলিম প্রধান অফিসের গোপন কক্ষে মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। রাতভর চলতো আনন্দপূর্তি। তার এই অপকর্মে সঙ্গী ছিলেন অনেক তরুণী। প্রভাবশালীদের সঙ্গে সখ্যতার কারণে এসব পার্টি নিয়ে তাকে কোনো চিন্তাই করতে হতো না। অনেক নামি দামি মানুষ এসব পার্টিতে সুন্দরীদের সঙ্গে অংশ নিতেন।

সেলিমের অপকর্মের সাক্ষী হিসেবে সুলাইমান নামে তার এক গাড়িচালক জানান, সেলিমের গুলশানের বাসার চার তলার অফিসে একটি গোপন কক্ষ রয়েছে। সেখানে গত ছয় মাসে অন্তত ১০০ তরুণীকে গাড়িতে করে নিয়ে গেছেন তিনি। সেলিম মাসের বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরে থাকতেন। দেশে যখন আসতেন তখন দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা তার সঙ্গে ব্যস্ত থাকতে হতো। সারা রাত সেলিম অফিসের গোপন কক্ষে মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। অথচ নিচতলায়ই তার বড় স্ত্রী থাকতেন। 

র‌্যাব সূত্র থেকে জানা যায়, সেলিম অনলাইনে বিশ্বের সুপরিচিত ক্যাসিনোগুলোর সঙ্গে জুয়াড়িদের যুক্ত করার কাজ করতেন। এসবে তিনি সুন্দরীমেয়েদেরও কাজে লাগাতেন। প্রধান বেশির ভাগ সময়ই বিদেশে অবস্থান করতেন। আর দেশে আসলেও তার লাইফস্টাইলের কোনো পরিবর্তন ঘটতো না। রাতের বেলা লাল নীল বাতি জ্বলে উঠতো তার ফ্ল্যাটে। নাচ গান আর মদের সঙ্গে সুন্দরী মেয়েদের নিয়ে চলতো ব্যবসায়িক কাজ। সেলিম মূলত জাপানে গাড়ির ব্যবসা করতো। সেখান থেকে পাড়ি জমান থাইল্যান্ডে। এখানে এসেই মি. দো নামে একজনের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে নামেন অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়। ব্যবসার প্রসারে মনোরঞ্জনের জন্য বিভিন্ন জায়গায় পাঠাতে থাকেন মডেল আর নায়িকাদের। আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে তার ব্যবসা। 

সেলিম প্রধান তার ব্যবসার কাজে তরুণীদের নানাভাবে ব্যবহার করতেন। সুন্দরী মডেলরাই হলো তার ব্যবসায়ীক হাতিয়ার। প্রয়োজনে তাদের তিনি ব্যবহার করতেন। বিভিন্ন জনের কাছে পাঠাতেন। 

প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর বাংলাদেশে অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা খ্যাত সেলিম প্রধানকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি ফ্লাইট থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গ্রেপ্তারের পর রাতে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়।

র‌্যাব জানায়, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে থাই এয়ারযোগে (টিজি-৩২২) একটি ফ্লাইটে করে ব্যাংকক যাচ্ছিলেন সেলিম। আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করে বিমানেও ওঠেন তিনি। তথ্য পেয়ে র‌্যাবের একটি টিম বিমানের বিজনেস ক্লাস থেকে তাকে আটক করে র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে আসে। অভিযানের কারণে ফ্লাইটটি ছেড়ে যেতে বিলম্ব হয়। পরে বিকেল ৩টায় ওই ফ্লাইটটি ব্যাংককের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

এরপর এদিনই রাত সাড়ে ৯টায় র‌্যাব-১-এর একটি দল গুলশান-২-এর ১১/এ রোডের ৯৯ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালায়।