ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

একাধিক মামলায় আটকে যাচ্ছেন সম্রাট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৩৩ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০১:৩৫ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০১৯ রবিবার

বহু আলোচনা ও উৎকণ্ঠার পর গ্রেফতার হয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। রোববার ভোররাতে কুমিল্লা থেকে সহযোগী আরমানসহ তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এদিকে সম্রাটের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা, চাঁদাবাজির অভিযোগে একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, সম্রাটের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা, চাঁদাবাজির অভিযোগে একাধিক মামলা হবে। এসব মামলা করা হবে মতিঝিল বা রমনা থানায়। ক্যাসিনো ও চাঁদাবাজি মামলার জন্য সম্রাটকে ৭ থেকে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ারও আবেদন করা হবে।

রোববার ভোররাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সীমান্তবর্তী গ্রাম কুঞ্জুশ্রীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় সম্রাটকে। স্থানীয়রা জানান, কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামের যে বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন সেটি সম্রাটের আত্মীয়ের বাসা। বাড়িটি মনিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির। তবে তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। গভীর রাতে বাড়িটি ঘিরে রাখে র‌্যাব।

এদিকে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছে র‌্যাব। তবে সম্রাটকে কোথায় রাখা হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কেউ কিছু জানায়নি। র‌্যাব-৩ এর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, তাকে আপাতত র‌্যাব সদর দফতরে রাখা হয়েছে। তবে কোন থানার কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হবে সে বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তাদেরকে আজই আদালতে তোলা হবে।

উল্লেখ্য, গেল মাসে চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগের কারণে যুবলীগ নেতা সম্রাটের নাম আলোচনায় আসে। অভিযানে যুবলীগ, কৃষক লীগ ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা র‍্যাব ও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। কিন্তু সম্রাট ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। অভিযান শুরুর প্রথম তিন দিন তিনি দৃশ্যমান ছিলেন। ফোনও ধরতেন। এরপরই তিনি গা ঢাকা দেন। দেশত্যাগের চেষ্টাও করেন।

১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকায় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র‍্যাব। প্রথম দিন ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালায় র‍্যাব। এরপরই গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ক্লাবটির সভাপতি খালেদ হোসেন ভুঁইয়াকে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাজনৈতিক অঙ্গনের লোকেরা মনে করেন, ঢাকায় ক্যাসিনো ব্যবসার অন্যতম নিয়ন্ত্রক সম্রাট।

অভিযান শুরুর পর গত ২২ সেপ্টেম্বর সম্রাটের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাসংক্রান্ত একটি আদেশ দেশের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে পাঠানো হয়। তাঁর ব্যাংক হিসাবও তলব করা হয়।
এমএস/