৩১ বছরেও হয়নি ছাত্রলীগ কর্মী নোমান হত্যার বিচার
ডা. মামুন আল মাহতাব
প্রকাশিত : ০৭:৩০ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৭:৩৪ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০১৯ রবিবার
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের এক রক্তস্নাত নাম রাইসুল হাসান নোমান। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী ‘গণতান্ত্রিক’ সরকারের শাসনামলে প্রফেশনাল পরীক্ষার ভাইভা দিতে গিয়ে পরীক্ষার হলে ইন্টার্নাল-এক্সটার্নালদের সামনে তৎকালীন ছাত্রদলের দুর্বৃত্তদের নির্মম ছুরির আঘাতে নিহত হন তিনি। মমেক শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক রাইসুল হাসান নোমান এখন বিস্মৃতপ্রায় একটি নাম।
শনিবার (৫ অক্টোবর) নোমান হত্যাকাণ্ডের ৩১ বছর পার হলেও অনেকের মতোই বিচার পায়নি তার পরিবার। এদিন তাকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমিউ) হেপাটলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্লীল)।
যে স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, আমি সেদিনের ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের খুনিদের মিছিলের সাক্ষী। আমার এখনও সেই মিছিলে থাকা কিছু লোকের কথা মনে আছে, যাদের মধ্যে কেউ কেউ আজ পেশায় বেশ ভালভাবে বসেছে। আমি এখনও চোখ বন্ধ করে দেখি তার রক্তে ভিজে যাওয়া এপ্রোন।
ডা. মামুন আল মাহতাব আরও লেখেন, ন্যায়বিচার কখনই পরিবেশন করা হয়নি। ‘ন্যায়বিচারের দেবী’ এই পতিত যুবকের দিকে চোখ বন্ধ রেখেছিল। ৩১ বছর কেটে গেছে - তিনি এই নশ্বর পৃথিবীতে শ্বাস নেওয়ার চেয়ে আরও বেশি বছর কেটে গেছে। অথচ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে তার উত্তরসূরীদের স্মরণ করতে এবং অশ্রু বর্ষণ করার জন্য একটি কাঠামোও নেই আজ।
এসময় নোমানের শান্তি কামনা করে তার এই জুনিয়র সহপাঠি লেখেন, শান্তিতে থাকুন ‘শহীদ নোমান ভাই’। আপনি আমাদের অন্তরে রাজত্ব করুন। আমরা সেখানে আপনার জন্য স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেছি।
১৯৮৮ সালের সেই স্মৃতি তুলে ধরে বিএসএমএমিউ'র এই বিভাগীয় চেয়ারম্যান আরও লেখেন, ১৯৮৮’র ৫ অক্টোবর সকালের সেই স্মৃতি এখনও বয়ে বেড়ায় আমার মত সেদিন এমএমসি ক্যাম্পাসে উপস্থিত অনেককেই। নোমান বিচার পাননি, কিন্তু রক্তের বন্ধনে বেঁধে গেছেন আমার মত অনেক ছাত্রলীগ কর্মীকেই। সেদিনের এমএমসি’র ছাত্রলীগাররা গ্রুপিং করতে পারে, করতে পারে লবিংও। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, ছাত্রলীগের মূলনীতি আর শহীদ নোমানের রক্তের সাথে বেইমানী করতে পারে বলে আমি অন্তত বিশ্বাস করি না।
এনএস/