ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের আগমনী বার্তা ঝরছে কুয়াশা
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৮:১১ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০১৯ রবিবার
বাংলা দিনপঞ্জিকার হিসেব অনুযায়ী এখন দেশে চলছে আশ্বিনের শেষ দশক এবং ঋতু হিসেবে শরতকাল। প্রতি বছর অগ্রহায়নের শুরুর দিকে শীতের আগমন ঘটলেও ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার আশ্বিনের শেষ দশকেই শুরু হয়েছে শীতের আনাগোনা। সন্ধার পর থেকে ভোর এবং অনেক বেলা অবধি ঝরতে শুরু করেছে ঘন কুয়াশা।
হিমালয়ের খুব নিকটবর্তী হওয়ায় ঠাকুরগাঁও জেলায় শীতের আমেজ নেমে আসে বেশ আগে ভাগেই। এবারো এর খুব একটা ব্যাতিক্রম হয়নি, শীতের আগমনী বার্তা চলে এসেছে কিছুটা আগেই। হাড় কাঁপানো শীত না হলেও ঘন কুয়াশায় অনুভূত হচ্ছে শীতের আমেজ। আর এ শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুুতি হিসেবে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জেলার লেপ-তোশকের কারিগরগন।
রবিবার ভোরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে রাস্ত-ঘাট। সড়কে-মহাসড়কে বাস-ট্রাকগুলো চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। ভোরে ও সকালে অনেকেই নিজ নিজ গন্তব্যে বের হয়েছেন হালকা গরম কাপড় গায়ে মুড়িয়ে।
স্থানীয়রা বলছেন, গত কয়েককদিনের অবিরাম বৃষ্টির কারণে এ বছর এতো আগে শীত অনুভব হচ্ছে। দিনের বেলা কিছুটা গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকেই কুয়াশা ঝড়তে শুরু করে । রাতভর হালকা বৃষ্টির মত টুপটাপ করে কুয়াশা ঝরতে থাকে। বিশেষ করে মাঠে ঘাসের আগায় ও ধানের শীষে জমতে দেখা যাচ্ছে বিন্দু বিন্দু কুয়াশা। সকালে ঘাসের ওপর দিয়ে হেটে গেলে সে কুয়াশায় কাপড় ভিজে যাচ্ছে।
জেলার প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুরনো কাঁথা নতুন করে শেলাই করে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেক নারী। বাড়ির পাশে গাছের নিচে বসে রং বেরঙের সুতো দিয়ে তারা তৈরী করছেন কাঁথা। পুরনো শাড়ি ও লুঙ্গির কাপড় দিয়ে তৈরী করছেন এসব কাঁথা।
মোটর বাসের চালক রহিমুল ইসলাম জানান, গত বছর এ সময়ে কোন কুয়াশা লক্ষ্য করিনি। এ বছর দু’দিন ধরে সকালে হেডলাইড জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়া হালকা বাতাসের কারণে ঠান্ডাও অনুভুত হচ্ছে।
সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের কহরপাড়া গ্রামের সবজি চাষি আলতাফ আলী বলেন, হালকা শীতের কারণে ফসলে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস এর আক্রমণ শুরু করে। এতে ফসলে কীটনাশক প্রয়োাগ করতে উৎপাদন খরচও বেড়ে যায় অনেকটা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আফতাব হোসেন জানান, এ অঞ্চলে এবার কিছুটা আগেই শীতের আগমন ঘটেছে। হালকা শীতের কারণে বিভিন্ন ফসলে রোগ-বালাই দেখা দেওয়াার সম্ভাবনা রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আমরাও ফসলের সুরক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছি।
আরকে//