ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৪ ১৪৩১

নারীদের পিছিয়ে পড়ার পেছনে ক্ষমতায়ন না হওয়াকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা

প্রকাশিত : ০৯:৫৪ এএম, ৮ মার্চ ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:০৪ পিএম, ৮ মার্চ ২০১৬ মঙ্গলবার

অর্থনীতিতে নারীর অবদান বাড়লেও, ২০১০-এর শ্রমজরিপের তুলনায় ২০১৩’র জরিপে কর্মক্ষম নারীর অংশগ্রহন কমেছে। নীতি নির্ধারনীসহ নেতৃত্বশীল পদগুলোতেও বাড়ছে না তাদের পদায়ন। নারীদের এমন পিছিয়ে পড়ার পেছনে সামাজিক, পারিবারিক ও উচ্চশিক্ষায় ক্ষমতায়ন না হওয়াকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। সমঅধিকারের প্রশ্নে সারাবিশ্বে নারী দিবস পালিত হয়ে থাকে। কিন্তু, এই সমঅধিকার কতটুকু চর্চা হচ্ছে দেশে, একটু নজর দিলেই তা পরিস্কার হয়ে যাবে। দেশে প্রতিদিন একজন নারী ১২টি কাজ করেন, যা জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত নয়। আর তা মজুরি দিয়েও পরিমাপ করা হয় না। এমন তথ্যই এসেছে দুটি বেসরকারি সংস্থার গবেষণায়। ক্ষুুধা আর দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়তে পিছিয়ে নেই নারী। কৃষিকাজ, কলকারখানার শ্রমিক, পোষাক শিল্পের কর্মী, মাটি কাটা থেকে শুরু করে রাজনীতি, দেশ পরিচালনা, চিকিৎসক, বেসরকারি সংস্থা সবক্ষেত্রেই নারীর অংশগ্রহন স্বতঃস্ফূর্ত। এত কিছুর পরও পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ শ্রম জরিপে উঠে এসেছে, অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে পিছিয়ে নারী। মাত্র এক কোটি ৮২ লাখ নারী অংশ নিয়েছে স্বীকৃত শ্রমে। এখানে কর্মক্ষম নারীর সংখ্যা ৫ কোটি ৬৭ লাখ। যা ২০১০-এ ছিল শতকরা ৩৬ শতাংশ আর এবার তা দাঁড়িয়েছে ৩৩-এ। বিশ্লেষকরা বলছেন, ৯০ ভাগ কর্মক্ষম পুরুষ যেখানে অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন, সেখানে মাত্র ৩০ শতাংশ নারী অংশগহ্রন করছেন স্বীকৃত শ্রমে। অনানুষ্ঠানিক কাজের ঝুঁকি, সামাজিক নিরাপত্তার অভাবেও নারী পিছিয়ে পড়ছেন বলেও অভিযোগ তাদের। নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে পারলে নারীরাও শতভাগ উন্নয়নের অংশীদার হতে পারবে বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।