আবরার হত্যা: বহিষ্কৃতদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:১৪ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার
বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বহিষ্কৃত ১১ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি।
কমিটির সদস্য ও ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এ কথা জানান। বহিষ্কৃত ১১ জনের বাহিরে আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কমিটি সুপারিশ করবে বলে জানান তিনি।
এর আগে গতকাল সোমবার দুই সদস্যের এ কমিটি ওই ১১ জনকে বহিষ্কারের সুপারিশ করলে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে তাদের বহিষ্কার করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি।
ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
ইয়াজ আল রিয়াদ বলেন, মর্মান্তিক এ ঘটনায় ১১ জনের জড়িত থাকার নাম পেয়েছি। আরোও তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করবে তদন্ত কমিটি।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত বহিষ্কৃতরা হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-দফতর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, মুনতাসির আল জেমি (সদস্য), এহতেসামুল রাব্বি তানিম (সদস্য)ও মুজাহিদুর রহমান (সদস্য)।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরদিন সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
আই/